
সেসময় গোহত্যা ইংরেজদের দ্বারা সমর্থিত ছিল। তাদের অনেকগুলো কসাইখানাও ছিল যেখানে প্রতিদিন বহু গোরুকে হত্যা করা হতো। মহর্ষি নিজের গ্রন্থ ও ব্যাখ্যানে ইংরেজদেরকে কিভাবে গোরক্ষার লাভ বুঝিয়েছিলেন তা আগে লিখেছি। তবে এককভাবে যত ইংরেজদের বোঝান না কেন, যদি এ বিষয়ে কোনও সরকারি আইন না থাকে তাহলে গোহত্যা বন্ধ হওয়ার কোনো আশা নেই। সুতরাং ঋষি দয়ানন্দ ইংরেজ সরকারের মাধ্যমেই গোহত্যার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করানো যুক্তিসংগত বলে মনে করলেন। তাঁর জীবনীগ্রন্থের বিবরণ থেকে জানা যায় তিনি গো রক্ষার সমর্থনে ভারতবর্ষের সর্বস্তরের মানুষের সম্মতিসূচক স্বাক্ষর নিয়ে সরকারের কাছে প্রেরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। যেন তারা অবাধ গোহত্যার উপর শীঘ্রই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। এ বিষয়ে পণ্ডিত ঘাসীরাম জী লিখেছেন,
“ স্বামীজি মহারাজ শেষে চিন্তা করলেন যে, যদি তিন কোটি ভারতবাসীর স্বাক্ষর সংযুক্ত; একটি প্রার্থনাপত্র মহারাণী ভিক্টোরিয়ার কাছে প্রেরণ করা হয়, তাহলে গোহত্যা বন্ধ করা সম্ভব। এই চিন্তা থেকে চৈত্র কৃষ্ণ ৯ সম্বৎ ১৯৩৮ এ বোম্বাই থেকে একটি বিজ্ঞাপনপত্র প্রকাশ করেন যাতে গোরক্ষার লাভ এবং হত্যার ক্ষতি দেখিয়ে তৈরীকৃত প্রার্থনাপত্রে স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করেন। এটি আর্যসমাজের সকল শাখা এবং দেশের বিভিন্ন রাজ্যের রাজা মহারাজ ও সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিবর্গের কাছে প্রেরণ করে জোরদার কার্যক্রম শুরু করেন। শোনা যায় যে স্বামীজি মহারাজের ইচ্ছা ছিল যে তিনি নিজে বিলাত গিয়ে নিজের হাতে উক্ত প্রার্থনাপত্র মহারাণী ভিক্টোরিয়াকে দিবেন। স্বাক্ষর সংগ্রহের জন্য আর্যসমাজীরা খুবই উৎসাহের সাথে কাজ শুরু করেছিলেন। লক্ষ লক্ষ স্বাক্ষর করানো হচ্ছিল। কিন্তু অক্টোবর সন্ ১৮৮৩ এ স্বামীজি মহারাজের দেহান্ত হয়ে যায়। ফলে উক্ত প্রার্থনাপত্র আর পাঠানো হয়নি। সব শ্রম বিফল হয়ে পড়ে থাকে।”
[ পণ্ডিত ঘাসীরাম কৃত " মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী কা জীবন-চরিত। দ্বিতীয় ভাগ / সপ্তবিংশ অধ্যায় / পৃষ্টা- ৬৬৭ ]

“
ओ३म्
জগতে এমন কোন মনুষ্য আছেন যিনি সুখলাভে প্রসন্ন এবং দুঃখ প্রাপ্তিতে অপ্রসন্ন না হইয়া থাকেন। যেরূপ অন্যের উপকার গ্রহণ করিয়া মনুষ্যগণ স্বয়ং আনন্দিত হইয়া থাকেন সেরূপ অন্যের উপকার করিয়া অবশ্যই সুখী হওয়া উচিত। এমন কোনো বিদ্বান সংসারে আছেন বা হইবেন কি ? যিনি পরোপকাররূপ ধর্ম এবং পরহানি রূপ অধর্মের কথা ছাড়িয়া ধর্মাধর্ম সিদ্ধ করিতে পারিবেন।
সেই মহাশয়গণ ধন্য, যাঁহারা আপন তনু, মন এবং ধনের দ্বারা সংসারের উপকার করিয়া থাকেন। তাহারা নিন্দনীয় মনুষ্য যাহারা নিজ অজ্ঞানতার কারণে স্বার্থপরবশ হইয়া স্বীয় তনু, মন এবং ধনের দ্বারা পরহানি করিয়া বৃহৎ লাভের নাশ করিয়া থাকেন। সৃষ্টিক্রমের দ্বারা ঠিক ঠিক এই নিশ্চয় হয় যে পরমেশ্বর যে যে বস্তু রচনা করিয়াছেন, তাহা পূর্ণ উপকার গ্রহণের জন্যই করিয়াছেন, অল্প লাভ করিয়া মহাহানি করিবার জন্য নহে।
জীবনের মূল দুই প্রকারের, প্রথম অন্ন , দ্বিতীয় পানীয়। উক্ত অভিপ্রায়ে আর্যাবর্ত শিরোমণি রাজামহারাজ এবং প্রজাগণ গাভী আদি পশুকে না তো নিজে মারিতেন না অপরকে মারিতে দিতেন। এখনও এই গাভী, ষাঁড় এবং মহিষ আদি পশুকে হত্যা করা কিংবা করিতে দেওয়া উচিত নহে। কেননা অন্ন এবং পানীয় বহু প্রকারে ইহাদের দ্বারাই লাভ হইয়া থাকে। ইহাদের দ্বারা সবার জীবনে সুখ উৎপন্ন হইতে পারে। ইহাদের মারিলে রাজা ও প্রজার যতটা হানি হইয়া থাকে ততটা অন্য কিছুতে হয় না। এই সিদ্ধান্ত 'গোকরুণানিধিঃ' পুস্তকে উত্তমরূপে প্রকট করিয়া দিয়াছি। অর্থাৎ এক গাভীকে হত্যা করিলে বা করাইলে চার লক্ষ বিশ হাজার মনুষ্যের সুখের হানি ঘটিয়া থাকে।
এইজন্য আমরা সবাই স্বপ্রজার হিতৈষিণী রাজরাজেশ্বরী কুইন ভিক্টোরিয়ার ন্যায়প্রণালীতে যেরূপ অন্যায়ভাবে পরম উপকারক গাভী আদি পশুর হত্যা হইতেছে । ইহাকে এই রাজ্য হইতে প্রার্থনাপূর্ব্বক বন্ধ করাইয়া প্রসন্ন হইবার ইচ্ছা করি। ইহা আমাদের বিশ্বাস যে বিদ্যা, ধর্ম এবং প্রজাহিতপ্রিয় শ্রীমতি রাজরাজেশ্বরী কুইন ভিক্টোরিয়া পার্লামেন্ট সভা এবং সর্বোপরি প্রধান আর্য্যাবর্ত্তীয় শ্রীমান গবর্নর জনরল সাহেব বাহাদুর সম্প্রতি গাভী , মহিষ এবং ষাঁড় আদির হত্যার ন্যায় হানিকারক কর্ম রোধ করিয়া তথা উৎসাহ এবং প্রসন্নতাপূর্বক শীঘ্র বন্ধ করাইয়া আমাদেরকে আনন্দিত করিবেন।
দেখুন , উক্ত গুণযুক্ত গবাদি পশুকে মারিলে বা মারাইলে দুগ্ধ, ঘৃত এবং কৃষকগণের হানি হইয়া থাকে। এরূপে রাজা এবং প্রজা উভয়েরই হানি হইতেছে এবং প্রতিনিয়ত অধিক হইতে অধিকতর হানি হইয়া চলিতেছে ।
কেউ পক্ষপাত ত্যাগ করিয়া যখন বিচার করিবেন তখন পরোপকারকে ধর্ম এবং পরহানিকে অধর্ম বলিয়া নিশ্চিতরূপে জানিতে পারিবেন। যাহা যাহা হইতে অধিক উপকার হইবে তাহার পালন করা, বর্ধন করা এবং কদাপি নাশ না করা; ইহা কি বিদ্যার ফল এবং সিদ্ধান্ত নহে? পরম দয়ালু ন্যায়কারী, সর্বান্তর্যামী, সর্বশক্তিমান পরমাত্মা এই জগদুপকারক কর্ম করিতে সমস্ত রাজা প্রজাদিগকে একমত করুন।
...............
...............
............... [হস্তাক্ষর] ”
[তথ্যসূত্র-শ্রী পণ্ডিত লেখরাম জীর উদ্ধৃতি, জীবনচরিত্র - মহর্ষি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী/ পৃষ্টা- ৮৫৩-৫৪ ]

উক্ত প্রার্থনাপত্রে সবাই যেন স্বাক্ষর করে এই উদ্দেশ্যে, চৈত্র কৃষ্ণ ৯ সংবৎ ১৯৩৯; তদানুসারে ১৪ মার্চ সন্ ১৮৮২ এ বোম্বাই থেকে মহর্ষি নিন্মোক্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেন -
❝ বিজ্ঞাপনপত্রমিদম্- আর্যপুরুষগণকে জানানো হইতেছে যে, যেই পত্রের উপরে (ओ३म्) এবং নিচে (হস্তাক্ষর) এরূপ চিহ্ন আছে তাহা স্বাক্ষর করিবার জন্য।
ইহাতে এই প্রকারে সাক্ষর করিতে হইবে -
যাহার স্বরাজ্য বা দেশে ব্রাহ্মণ আদি মনুষ্যের সংখ্যা যতো আছে ততো লিখিয়া; শত, সহস্র, লক্ষ বা কোটি সংখ্যক মনুষ্যের পক্ষ হইতে আমি অমুকনামা পুরুষ স্বাক্ষর করিতেছি লিখিবেন ।
এই প্রকারে একজন, শ্রীযুত মহাশয় প্রধান পুরুষের স্বাক্ষরের মাধ্যমে সর্বসাধারণ আর্যপুরুষগণের স্বাক্ষর হইয়া যাইবে । যতো মনুষ্যের পক্ষ হইতে একজন মুখ্য ব্যক্তি সাক্ষর করিবেন তিনি তাহাদের স্বাক্ষর করাইয়া অবশ্যই নিজের কাছে রাখিবেন ।
যেসকল মুসলমান ও খ্রিস্টানগণ এই মহা উপকারক বিষয়ে দৃঢ়তা এবং প্রসন্নতাপূর্বক স্বাক্ষর করিতে ইচ্ছা করেন তাঁহারা করিয়া দিন ।
ইহাতে আমার আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, পরম উদার মহাত্মাগণের পুরুষার্থ, উৎসাহ এবং প্রীতির মাধ্যমে এই সর্বোপকারক, মহাপুণ্য এবং কীর্তিপ্রদায়ক কার্য যথাবৎ সিদ্ধ হইয়া যাইবে।
– দয়ানন্দ সরস্বতী (বোম্বাই) ❞
[তথ্যসূত্র-শ্রী পণ্ডিত লেখরাম জীর উদ্ধৃতি, জীবনচরিত্র - মহর্ষি স্বামী দয়ানন্দ সরস্বতী/ পৃষ্টা- ৮৫৩-৫৪ ]

মহর্ষির ভক্ত এবং শিষ্য রামানন্দ ব্রহ্মচারী, মহাশয় রুপসিংহকে পাঠানো একটি পত্রে লিখেছেন
“ যেহেতু আপনি গোরক্ষা সম্পর্কিত পত্র লিখেছেন, তাই আমি যখন আপনার কাছে পত্র প্রেরণ করেছিলাম, তখন লাহোর আদি স্থানে পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। আর্যাবর্তের ভেতরে এমন কোনো প্রদেশ বাকি নেই, যেখানে দুই-চার স্থানে পত্র পাঠানো হয়নি। আর যে যে স্থানের কথা নতুন করে জানা যাচ্ছে, সেখানে এখনও পাঠানো হচ্ছে। এসবের কারণ এই যে, ডাক-পিয়নরা এই অনর্থ করেছে। যেমন এই বিষয়ে আপনার পত্র এসেছে, তেমনি আরো কয়েকজন মহাশয়ের পত্র এসেছে যে, তাঁদের কাছে পত্র পৌঁছে গেছে, কিন্তু গোরক্ষা সম্বন্ধিত মেমোরিয়াল (ফর্ম) যায়নি। পুনরায় সেই মহাশয়দের কাছে তা পাঠাতে হয়েছে।...আপনি যদি খুশিমনে স্বীকার করেন তবে আমি আপনাকে আরেকটি কথা বলতে চাই। আপনি আগে ঘুরার জন্য যেভাবে দুই মাসের ছুটি নিয়ে এসেছিলেন সেভাবে যদি পুনরায় দুই এক মাসের ছুটি নিয়ে পাঞ্জাব হাথা, পটিয়ালা এবং কাশ্মীর আদি ভালো ভালো জায়গায় গো হত্যার ক্ষতি বিষয়ক বক্তৃতা দিয়ে বড়, বড় প্রধান শ্রেণীর রাজপুরুষ তথা রাজা-মহারাজদের গোরক্ষার জন্য সাক্ষর করান তবে আপনি আর্যাবর্তে সর্বোত্তম প্রতিষ্ঠা এবং পুণ্যের ভাগীদার হবেন।...আপনার অভিবাদন পরম গুরু স্বামীজিকে জানিয়েছি। আপনিও শ্রী স্বামীজির শুভাশিস গ্রহণ করবেন। ” ভদ্রমস্তু ॥ - রামানন্দ ব্রহ্মচারী
[ মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত যুধিষ্ঠির মীমাংসক কৃত, ঋষি দয়ানন্দ সরস্বতীর পত্র এবং বিজ্ঞাপন। দ্বিতীয় ভাগ / পূর্ণ সংখ্যা ৬৬৩ / পৃষ্টা- ৬৮২ তারিখ- ১২ ই মে ১৮৮২ ইংরেজি]


“ স্বামিজী ১৮৮১ খৃষ্টাব্দের ১২ই জানুয়ারী তারিখে গোরক্ষিণী সভা সংস্থাপিত করিয়া এতদ্দেশে গোরক্ষার পথ প্রশস্ততর করিয়া তুলিলেন। ”
[দয়ানন্দ চরিত। দ্বিতীয় ভাগ / দ্বাদশ পরিচ্ছেদ / পৃষ্ঠা- ২৮২]
গোকৃষ্যাদি রক্ষিণী সভার কার্যক্রম কিভাবে চলবে তা মহর্ষি গোকরুণানিধিঃ গ্রন্থে লিখেছেন।


ভারত ভাগ্য বিধাতা ঋষি দয়ানন্দের চেষ্টায় গো-রক্ষার কার্যের জন্য জনসাধারণ থেকে শুরু করে রাজা মহারাজগণ কেমন প্রভাবিত হয়েছিলেন, সে বিষয়ে জানার জন্য আমরা কেবল সেই ব্যক্তিদের নাম এবং তাঁদের দ্বারা সংগৃহীত স্বাক্ষরের উল্লেখ করছি,
১. শাহপুরাধীশ নাহরসিংহ দ্বারা ------৪০,০০০
২. শ্রী গোপালরাও হরি (ফরাক্কাবাদ) ------ ৭২,০০০
৩. কটিলার ঠাকুরানী মহাশয়া ------ ৯,৩০৩
৪. জালিমসিংহ (রূপধনী) ------ ১০,০০০
৫. সেবকলাল কৃষ্ণদাস (বোম্বাই) ------ ১৫,৩২০
[সংখ্যা ৩-৪ এর পত্রসমূহে উপলব্ধ]
“ পণ্ডিত কালুরাম শর্মার চেষ্টায় গোরক্ষার জন্য রাওরাজা সীকরের এলাকার ৫৫৫ টি গ্রাম থেকে চাঁদা উত্তোলন করা হয়েছে। রামগড়, লক্ষ্মণগড়, ফতেপুর ইত্যাদি স্থান থেকেও কিছু টাকা পাওয়া গেছে। ”
বিপ্র গোপীনাথের পত্র (আংশিক)
[ ঋষি দয়ানন্দ সরস্বতীর পত্র ও বিজ্ঞাপন / তৃতীয় ভাগ / পূর্ণসংখ্যা - ২২৪ / পৃষ্টা- ৩১৮ ]


৮ এপ্রিল ১৮৮২ তে বোম্বাই থেকে স্বামীজি একটি ইংরেজি পত্র মান্যবর শ্রীমান নন্দকিশোর জীর নামে প্রেরণ করেছিলেন। উক্ত পত্রের অনুবাদ নিচে দেওয়া হলো-
“ ৪ তারিখ আপনার পত্র পেয়েছি। আনন্দিত হলাম। পণ্ডিত কালুরাম সেখানে সফল হওয়ায় আমি প্রসন্ন হয়েছি ,এটা শুনেও আনন্দিত হয়েছি যে জয়পুরে গো হত্যা বন্ধ করার জন্য কার্যক্রম চলছে । আমি চাইছি যে এই কার্য কোনো মহারাজের দ্বারা সফলতা প্রাপ্ত হোক। আপনি বাস্তবে অনেক ভালো ব্যাবস্থা করেছেন যে, কোনো গাভী, বলদ বা মহিষকে রাজ্যের বাইরে বিক্রি করা যাবে না । এর অতিরিক্ত সবচেয়ে ভালো উপায় যা আমি বলতে চাইছি তা হলো, গাভীদের সংখ্যা গণনা করা হোক। যেখানে রাজ্যের সমস্ত গাভী, বলদ এবং মহিষ আদির সংখ্যা লিখা হবে এবং সেই কার্যালয়ে তৎসম্পর্কিত প্রত্যেক পশুর জন্ম এবং মৃত্যুর হিসাব লিখা হবে। গাভীদের গণনা প্রতি ছয় মাস পর পর হওয়া চাই। কারণ এর মাধ্যমে রাতে পশুদের চোরাচালান বন্ধ করা যাবে। ”
[ শ্রী পণ্ডিত লেখরাম জীর উদ্ধৃতি / জীবনচরিত্র। পৃষ্টা- ৮৫৪-৫৫ ]
“ পণ্ডিত কালুরাম জীর জয়পুর যাওয়া সফল হয়েছে । জয়পুরে গোহত্যা নিষিদ্ধ হয়েছে। জয়পুরের মহারাজের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে সেখানে গোহত্যা হবে না । ” পূর্ণ সংখ্য - ৩০৩ (পত্র সারাংশ)
৪ এপ্রিল ১৮৮২
নন্দকিশোরসিংহ, জয়পুর ।
[ ঋষি দয়ানন্দ সরস্বতীর পত্র ও বিজ্ঞাপন / তৃতীয় ভাগ পৃষ্টা - ৩৮৪ ]

“ আমার প্রজাদের মধ্যে ১৪, ৬১, ১৫৬ হিন্দু এবং ১,৩৭,১১৯ সংখ্যক মুসলমান আছে। 'তিন পশুকে (গাভী, ষাঁড় এবং মহিষকে) হত্যা করা যাবে না ' এই ব্যবস্থায় তারা খুশি । পৌষ ৫ / সম্বৎ ১৯৩৯।
সাক্ষর
রাজরাজেশ্বর মহারাজাধিরাজ জসবন্তসিংহ, মারওয়াড়, জোধপুর।
[তথ্যসূত্র- ঠাকুর জগদীশসিংহ গহলোত কৃত, রাজপূতানার ইতিহাস। ভাগ ১ পৃষ্টা- ২৮৭]
( ঋষি দয়ানন্দ সরস্বতীর পত্র ও বিজ্ঞাপন- চতুর্থ ভাগ / প্রাককথন অংশ থেকে উদ্ধৃত)