বিধবাবিবাহ আন্দোলনের ফলে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের নাম সমগ্র ভারতে ছড়াইয়া পড়িয়াছিলো। তিনি (মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী) কলিকাতায় আসিয়াই বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সাথে দেখা করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেন। কেশবচন্দ্র তাহাকে সঙ্গে করিয়া একদিন বাদুড়বাগানে বিদ্যাসাগরের গৃহে লইয়া যান।
বিদ্যাসাগর তখন ছিলেন অসুস্থ। দয়ানন্দের খ্যাতি পূর্বেই শুনিয়াছিলেন। দয়ানন্দকে দেখিয়া তিনি আনন্দে আত্মহারা হইলেন। বিদ্যাসাগর দয়ানন্দ অপেক্ষা চারি বৎসরের বড় ছিলেন। ইহা শুনিয়া দয়ানন্দ বিদ্যাসাগরকে জ্যেষ্ঠাগ্রজ সম্বোধনে জড়াইয়া ধরিলেন। উভয়ের চক্ষু হইতে আনন্দাশ্রু নির্গত হইল। বিধবাবিবাহ, নিয়োগ, বহুবিবাহ ও বৃদ্ধবিবাহ সম্বন্ধে বিদ্যাসাগরের সঙ্গে স্বামীজির আলোচনা হইলো । ইহার পর কয়েকদিন বরাহনগরে গিয়া বিদ্যাসাগর দয়ানন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করিয়াছিলেন।
তথ্যসূত্র- পণ্ডিত দীনবন্ধু বেদশাস্ত্রী কৃত, ‘ বঙ্গে দয়ানন্দ ’, পৃষ্ঠা- (২৭-২৮)