বৈদ্য‌ রামগোপাল‌ শাস্ত্রী

 


         বৈদ্য‌ রামগোপাল‌ শাস্ত্রী

প্রসিদ্ধ বিদ্বান্, সামাজিক কার্যকর্তা তথা রাষ্ট্রকর্মী বৈদ্য রামগোপাল শাস্ত্রী জীর জন্ম ১৮৯১ সনের‌ ৮ই আগষ্ট লাহোরে । 

তাঁর পিতার নাম শ্রী রামদাস । বৈদ্য‌ জী ১৯১১ সনে পাঞ্জাবে 'শাস্ত্রী' পরীক্ষা সম্পন্ন করেন । ১৯১৬ সনে তিনি লাহোরের ডী. এ. বী. হাই স্কুলে ধর্মশিক্ষা বিভাগের অধ্যাপক পদে নিযুক্ত‌ হন । উক্ত‌ স্কুলে‌ অধ্যাপক পদে‌ কার্যরত‌ অবস্থায় আর্যসমাজে প্রবিষ্ট হন এবং বৈদিক ধর্মের প্রচার-প্রসার‌ তথা‌ বৈদি‌ক সিদ্ধান্ত মণ্ডনে প্রবলভাবে‌ সক্রিয় ভূমিকা রাখেন । ১৯১৯ সনে তিনি ডী. এ. বী. কলেজে বৈদিক শোধ বিভাগে নিযুক্ত হন । এই বিভাগে বৈদিক পরম্পরার মহান ইতিহাসবেত্তা‌, উচ্চকোটির‌ বিদ্বান্‌ পণ্ডিত ভগবদ্দত্ত জীর সান্নিধ্যে অনুসন্ধান কার্যে থাকেন । ১৯২৪ সনে ডী. এ. বী. কলেজের প্রবন্ধ-সমিতি 'দয়ানন্দ ব্রাহ্ম-মহাবিদ্যালয়' স্থাপনা করে এবং বৈদ্য‌ জী এই বিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে‌ নিযুক্ত‌ হন ।

এই সময়কালে‌ যখন গান্ধীর নেতৃত্বে স্বরাজ্য প্রাপ্তির আন্দোলন অধিকাধিক তীব্রতর‌ হয় । তখন শাস্ত্রীজী তাঁর কয়েকজন‌ মিত্রের সহযোগে ১৯২২ সনে লাহোর‌ই 'আর্য স্বরাজ্য সভা' স্থাপনা করেন। ১৯২৮ সনে ব্রাহ্ম-মহাবিদ্যালয় থেকে পদত্যাগ‌ করেন । তৎপশ্চাৎ তিনি তাঁর জীবিকা নির্বাহের জন্য চিকিৎসক হ‌ওয়ার‌ সিদ্ধান্ত‌ নেন এবং রাবলপিণ্ডী এর প্রসিদ্ধ বৈদ্য পণ্ডিত মস্তরামজীর শিষ্য হয়ে আয়ুর্বেদ এর বিশদ‌ অধ্যয়ন করেন ।

১৯৩০ সনে 'নমক' সত্যাগ্রহে অংশ‌ নেওয়ার‌ দরুন শাস্ত্রীজী এক বর্ষ কারাবাস ভোগ‌ করেন । কারাবাস কালে তিনি ‘বেদো মে আয়ুর্বেদ' নামক সুপ্রসিদ্ধ‌ গ্রন্থ‌ প্রণয়ন করেন। ভারত বিভাজনের‌ পশ্চাৎ পণ্ডিতজী দিল্লীতে‌ অবস্থান করেন এবং সেখানে তিনি স্থায়ী নিবাস নির্ধারণ‌ করেন । দিল্লীর করোলবাগে অবস্থান করে তিনি চিকিৎসা কার্যে মনোনিবেশ করেন । দিল্লী নিবাসকাল শাস্ত্রীজী আর্যসমাজের‌ সমস্ত কার্যে‌ মুখ্য‌ ভূমিকা রাখেন । তাঁর কয়েকজন আর্য-মিত্রের সহযোগে তিনি 'ভারতীয় লোক সমিতি' নামক রাজনৈতিক সংস্থা‌ও স্থাপনা করেন । জীবনের অন্তিম বর্ষগুলোতে শাস্ত্রীজী আর্যসমাজ করোলবাগে আর্থিক সহযোগ দ্বারা বেদ প্রচারে‌ ভূমিকা‌ রেখেছেন । 

১৯৭৪ সনের‌ ৯ই জুন দিল্লীতে শাস্ত্রীজী দেহত্যাগ করেন ।



গ্রন্থরাজিঃ


1. দন্ত্যোষ্ঠ্যবিধি (১৯২১সন)


2. অথর্ববেদীয়াবৃহৎ সর্বানুক্রমণিকা (১৯২২ সন)


3. বেদো মে আয়ুর্বেদ


4. ঈশোপনিষদ্ [হিন্দী-ইংরেজি অনুবাদ] (১৯৫৩ সন)


5. কেনোপনিষদ্‌ [হিন্দী-ইংরেজি অনুবাদ] (১৯৫৭সন)


6. কঠোপনিষদ্ [হিন্দী-ইংরেজি অনুবাদ] (১৯৫৮সন)


7. সংস্কারবিধি মণ্ডনম্ ( ১৯৭৬ বিক্রমাব্দ)


8. অস্পৃশ্য নির্ণয় (রাষ্ট্রীয় হিন্দু সভা, লাহোর) 


9. মহর্ষি দয়ানন্দ কী রাষ্ট্রীয় বিচারধারা


10. হিংসা ঔর অহিংসা কা বৈদিক স্বরূপ সমঝিএ


11. বেদান্ত : প্রাচীন ঔর নবীন 


12. হিন্দুত্ব কে দ্বার ফির খোল দো (১৯৬৬ সন) 


13. শ্রীকৃষ্ণ ঔর উনকী নীতি


14. ভূলসুধার – অর্থাৎ হিন্দূজাতি কে পতন কে কারণ ঔর উত্থান কা কার্যক্রম


15. সত্য ঔর অহিংসা পার প্রাচীন আর্যো কে বিচার 


16. ক্যা বেদ মে আর্যো ঔর আদিবাসিয়ো কে যুদ্ধ কা বর্ণন হৈ ?


17. বেদ কে আখ্যানো কা যথার্থ স্বরূপ

 

18.বেদ মে আর্য-দাস যুদ্ধ সম্বন্ধী পাশ্চাত্য মত কা খণ্ডন ( হিন্দি‌-ইংরেজি‌ )


19. বৈদিক রুদ্র ঔর শিবশঙ্কর মহাদেব


20. দশ অবতারো কী কল্পনা


21. বেদ রত্নমালা 


Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.