আচার্য উদয়বীর শাস্ত্রী
আধুনিক ভারতের কপিল, সমগ্র দর্শন শাস্ত্রের উদ্ভট বিদ্বান্, সাহিত্যবাচস্পতি আচার্য উদয়বীর শাস্ত্রী জীর জন্ম ১৮৬১ সনের ৬ই জানুয়ারি বুলন্দশহর জেলার বনৈল গ্রামে ।
তাঁর পিতার ঠাকুর পূর্ণসিংহ তথা মাতার নাম তোহফা দেবী । আচার্য জীর বাল্যনাম উদয়বীরসিংহ । নিকটবর্তী গ্রাম সাবিতগড়ে আর্যসমাজের উৎসবে গুরুকুল সিকন্দরাবাদের সংস্থাপক পণ্ডিত মুরারীলাল শর্মা জীর ব্যাখ্যান শ্রবণ করে আচার্য জীর পিতা ঠাকুর পূর্ণসিংহ জী তাঁকে গুরুকুলে প্রবিষ্ট করানোর সঙ্কল্প করেন, ফলতঃ উদয়বীরসিহ জী ১৮ বর্ষ আয়ুতে গুরুকুল সিকন্দরাবাদে প্রবিষ্ট হন । উক্ত গুরুকুলে ১৯১০ সন পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন । তৎপশ্চাৎ ১৯১০ সনে তিনি গুরুকুল মহাবিদ্যালয় জ্বালাপুরে প্রবিষ্ট হন। তৎকালীন সময়ে এই গুরুকুল মহাবিদ্যালয় স্বীয় শৈক্ষণিক দৃষ্টিতে আর্যসমাজ সহ সমগ্র আর্যাবর্তে মহৎ স্থানে সমাদর হতো । স্বামী শুদ্ধবোধ তীর্থ (পণ্ডিত গঙ্গাদত্ত শাস্ত্রী), পণ্ডিত নরদেব শাস্ত্রী তথা পণ্ডিত পদ্মসিংহ শর্মা জীর ন্যায় প্রকাণ্ড বিদ্বান্গণ গুরুকুল মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ছিলেন । আচার্য উদয়বীরজী কলকতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'ন্যায়তীর্থ' (১৯১৫ সনে) তথা 'সাংখ্য-যোগতীর্থ' (১৯১৬ সনে) পরীক্ষায় প্রথম স্থানে উত্তীর্ণ হন । গুরুকুল থেকে 'বিদ্যাভাস্কর' পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হন এবং উপাধি প্রাপ্ত হন । কালান্তরে আচার্য জীর প্রকাণ্ডে পাণ্ডিত্যে বিমুগ্ধ হয়ে পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী ভারতী কৃষ্ণতীর্থ তাঁকে 'শাস্ত্র-শেবধি' তথা 'বেদরত্ন' উপাধিতে সম্মানিত করেন তথা গুরুকুল মহাবিদ্যালয় থেকে অন্যতম এই যশস্বী বিদ্যার্থীকে 'বিদ্যাবাচস্পতি' উপাধিতে সম্মানিত করা হয় ।
আচার্য জী যখন ১৯১৫ সনে 'ন্যায়তীর্থ' পরীক্ষা দিতে কলকাতা আসেন, তখন তিনি একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন । 'তীর্থ' উপাধির জন্য মৌখিক পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে । পরীক্ষক ছিলেন বাঙ্গালী বিদ্বান্, যার 'ওকারান্ত' উচ্চারণের কারণে হিন্দী ভাষী বিদ্যার্থী উদয়বীর জী পরীক্ষকের প্রশ্ন হৃদয়ঙ্গম করা কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো । ফলতঃ আচার্য জী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভাইস চ্যান্সেলর আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সমক্ষে যেয়ে তাঁর এই সমস্যার কথা খুলে বলেন । স্যার আশুতোষ মহাশয় সবকিছু শ্রবণ করে পরিস্থিতি বুঝতে পেরে বলেন, ''বাঙ্গালীগণ 'অব্যক্ত বাক্' প্রয়োগ করে থাকে । মৌখিক পরীক্ষার জন্য বিকল্প ব্যবস্থা হয়ে যাবে ।' ফলতঃ মৌখিক পরীক্ষক হিসেবে দাক্ষিণাত্য বিদ্বান্কে নিয়োগ করা হয় ।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পর আচার্য জী মনস্থির করেন পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ে 'শাস্ত্রী' পরীক্ষা দেওয়ার । তিনি লাহোরের ওরিয়ণ্টল কলেজের প্রাচার্য প্রোফেসর এ. সী. বুলনরকে একটি পত্র লিখেন এবং লাহোরে গমন করেন । তৎপশ্চাৎ তিনি শাস্ত্রী শ্রেণিতে প্রবিষ্ট হন। লাহোরে মহাত্মা হংসরাজ জী আচার্য জীকে নিবাসাদির পূর্ণ সহায়তা করেন । অমৃতধারার প্রবর্তক পণ্ডিত ঠাকুর দত্ত শর্মা জী আচার্য জীকে তাঁর গৃহে রাখার ইচ্ছাপোষণ করেন । ১৯১৭ সনে 'শাস্ত্রী' পরীক্ষা সম্পন্ন করে পুনঃ তিনি গুরুকুল মহাবিদ্যালয়ে চলে আসেন এবং পরবর্তী চার বর্ষ অধ্যাপন কার্যে মনোনিবেশ করেন । ১৯২১ সনে শাস্ত্রীজী বিবাহ আর্মি পুলিশের অধীক্ষক ঠাকুর প্রতাপসিংহ জীর কন্যা বিদ্যাকুমারী জীর সহিত সম্পন্ন হয় ।
১৯২০ সনে গান্ধী যখন অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে তখন আচার্য জী সমস্ত বিদ্যার্থীদের বিট্রিশ শাসিত বিদ্যালয়সমূহ ত্যাগের আদেশ দেন । অতঃপর বিভিন্ন নগরে রাষ্ট্রীয় বিদ্যালয়ের স্থাপনা কার্য শুরু হয় । লাহোরে লালা লাজপতরায় এবং ভাই পরমানন্দ জীর প্রেরণায় 'ন্যাশকাল কলেজ' স্থাপিত হয় । এই কলেজে পণ্ডিত জয়চন্দ্র জী বিদ্যালঙ্কার তথা স্বয়ং ভাই পরমানন্দ জীর ন্যায় আর্য জগতের প্রসিদ্ধ উচ্চকোটির বিদ্বান্গণ বিদ্যার্থীদের বিবিধ বিষয়ে পাঠদান করতে থাকেন । ১৯২১ সনে শাস্ত্রীজীও সংস্কৃত অধ্যাপক পদে নিযুক্ত হন এই কলেজে । কলেজে যুক্ত হয়ে তাঁর সাথে ভগতসিংহ, ভগবতীচরণ বোহরা আদি ক্রান্তিকারীগণের সম্পর্ক হয় । ভগতসিংহ জী শাস্ত্রী জীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছাত্র ছিলেন । পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিভিন্ন প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে শাস্ত্রী জীর পরিচয় দিয়ে রক্ষা পেয়েছেন । যখন ন্যাশনাল কলেজ বন্ধ হয়ে যায় তখন শাস্ত্রী জী লাহোর ছেড়ে কিছু সময়ের জন্য তাঁর শ্বশুর বাড়ি জমীন্দারী নাহনে (হিমাচল প্রদেশ) অবস্থান করতে থাকেন । সেইসময় পুলিশের হাত থেকে রক্ষা পেতে সর্দার ভগতসিংহ জীও নাহনে এসে শাস্ত্রীজীর সহিত সাক্ষাৎ করেন । তখন শাস্ত্রী জী এক কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন । একদিকে তাঁর শ্বশুর আর্মি অফিসার । আরেকদিকে তিনি তাঁর প্রিয় ছাত্রকেও আশ্রয় দিতে চান । ফলতঃ তিনি ভগতসিংহ জীকে নিয়ে নিকটবর্তী একটি গ্রামে চলে আসেন এবং ভগতসিংহ জীকে সেখানে রাখেন । শহীদ ভগতসিংহের হৃদয়ে তাঁর বিদ্যাদাতা গুরুবর শাস্ত্রীজীর প্রতি অসীম শ্রদ্ধা ছিল । ফাঁসিকাঠে দাঁড়িয়ে ভগতসিংহ জী একটি পুস্তক স্বহস্তাক্ষরে চিহ্নিত করে আচার্য উদয়বীর জীকে প্রেরণ করেন । অমূল্য নিধি এর ন্যায় শাস্ত্রী জী মৃত্যুর অন্তিম মুহূর্ত অবধি পুস্তকটি নিজের কাছে গচ্ছিত রাখেন ।
ভগতসিংহ এর ন্যায় শহীদ ভগবতীচরণ বোহরা জীর সাথেও শাস্ত্রীজীর অত্যন্ত অন্তরঙ্গ সম্বন্ধ ছিল । ১৯৩০ সনের ২৮শে মে রাবী তটে বোম বানানোর সময় বোহরা জী বীরগতি প্রাপ্ত হন । তাঁর পত্নী দুর্গাদেবী বোহরা জীর সাথে শাস্ত্রীজীর সহধর্মিণীর ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল । শ্রীমতী বোহরা জী শাস্ত্রীজীর রোচক সংস্মরণ তাঁর 'ঋতম্ভরা' নামক অভিনন্দন-গ্রন্থে অঙ্কিত করেছেন ।
লাহোরে শাস্ত্রীজী কিছুকাল 'দয়ানন্দ ব্রাহ্ম মহাবিদ্যালয়েও' অধ্যাপন কার্য করেছেন ।
দেশ-বিভাজনের পশ্চাৎ তিনি কিছু কাল বীকানের 'শার্দূল সংস্কৃত বিদ্যাপীঠে' আচার্য পদে ছিলেন । তিনি অনুভব করেন, বৈতনিকরূপে অধ্যাপন করার পাশাপাশি উচ্চকোটির সাহিত্য লেখন সম্ভব নয় । ফলতঃ তিনি গাজিয়াবাদে চলে আসেন এবং 'বিরজানন্দ বৈদিক শোধ সংস্থানে' অবস্থান করে সমগ্ররূপে সারস্বত সাধনায় ব্রতী হন । সেখানে তাঁর সহিত স্বামী বেদানন্দ তীর্থ এবং স্বামী বিজ্ঞানানন্দ সরস্বতী এর ন্যায় প্রসিদ্ধ সন্ন্যাসীগণের সম্পর্ক হয় । স্বামী বিজ্ঞানানন্দ জী তাঁকে সর্বপ্রকারে সহায়তা করে একান্ততঃ লেখন-কার্যে মনোনিবেশের প্রেরণা দেন । শাস্ত্রীজী পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করেন উচ্চকোটির সাহিত্য প্রণয়নে ।
১৯৫৮ সনে গাজিয়াবাদে আসেন এবং প্রায়ঃ দুই দশক সেখানে অবস্থান করে তিনি ষড়দর্শন ভাষ্য সহ বিবিধ সাহিত্য প্রণয়ন করেন । অত্যন্ত বার্ধক্যজনিত এবং নেত্র জ্যোতি ক্ষীণ হওয়ার দরুন আজমেরে তাঁর কন্যার গৃহে চলে যান । এর মাঝখানে তাঁর সহধর্মিণীও দেহত্যাগ করেন ।
শাস্ত্রীজীর সারস্বত সাধনার শুভারম্ভ হয় ১৯২৩ সনে । সেই সময়ে তিনি লাহোরে ছিলেন । সর্বপ্রথম তিনি মহামতি কৌটল্য (চাণক্য) লিখিত বিশ্বপ্রসিদ্ধ গ্রন্থ 'অর্থশাস্ত্র' এর মাধব যজ্বা লিখিত 'নয়-চন্দ্রিকা' নামক টীকা সম্পাদন করেন । তৎপশ্চাৎ ১৯২৫ সনে তিন ভাগে 'অর্থশাস্ত্র' এর সটীক সংস্করণ প্রস্তুত করেন । এই গ্রন্থ মোতীলাল বানারসীদাস প্রকাশিত করেন । ১৯২৬ সনে সাহিত্যশাস্ত্রের প্রসিদ্ধ গ্রন্থ 'বাগ্ভটালঙ্কার' এর সংস্কৃত এবং হিন্দী টীকা প্রণয়ন করেন।
আচার্য উদয়বীর জীর প্রিয় দর্শন ছিল 'ন্যায় দর্শন'। এই দর্শনের অনুশীলনে তিনি অনেক তপস্যা করেছেন । অনেক তথাকথিত পণ্ডিত ধারণা করে প্কপিল প্রণীত সাংখ্যসূত্র অধিক প্রাচীন নয় । বরং ঈশ্বরকৃষ্ণ-রচিত সাংখ্যকারিকা-ই অধিক প্রাচীন ।
শাস্ত্রীজী দীর্ঘকালীন গহিন অনুশীলনের পশ্চাৎ এই সিদ্ধান্তে মনস্থির হন যে, বস্তুতঃ কপিল-প্রণীত সাংখ্যসূত্রই মূল প্রাচীন গ্রন্থ । ১৯২৮ সনে লাহোরে অনুষ্ঠিত 'অখিল ভারতীয় প্রাচ্য বিদ্যা পরিষদ্' (All India Oriental Conference ) এর অধিবেশনে সভাপতিত্বে মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী জী যখন আচার্য উদয়বীরজী জীর এই সিদ্ধান্ত শ্রবণ করেন এবং সত্য জানতে পারেন তখন হরপ্রসাদ জী আশ্চর্যান্বিত হয়ে যান এবং অপ্রত্যাশিতরূপে তার মুখ থেকে এই বাক্য বেরিয়ে যায়, “শাস্ত্রিন্ অতিভয়ঙ্করমেতৎ ।"
তৎপশ্চাৎ শাস্ত্রী জী সাংখ্য দর্শনের আদ্যোপান্ত নিয়ে বিস্তারিতভাবে সাংখ্যদর্শন এর ইতিহাস নামক মহত্ত্বপূর্ণ উচ্চকোটির গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । প্রথম সংস্করণ ১৯৫০ সনে প্রকাশিত হয় ।
শাস্ত্রীজী সাংখ্য দর্শনের ইতিহাস প্রণয়ন করেই নিবৃত্ত হন নাই, তিনি এই দর্শনের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়সমূহ প্রতিপাদন করার নিমিত্তে 'সাংখ্য-সিদ্ধান্ত' নামক একটি প্রসিদ্ধ গ্রন্থেরও প্রণয়ন করেন ।
যখন পণ্ডিত উদয়বীরজী সাংখ্য দর্শন বিষয়ক প্রসিদ্ধ গ্রন্থদ্বয় প্রণয়ন করেন, তখন তিনি সাংখ্য সূত্রের ভাষ্য প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেন । ফলতঃ সাংখ্য দর্শনের 'বিদ্যোদয়-ভাষ্য' প্রণয়ন করেন ।
সাংখ্য দর্শনের ইতিহাস বিষয়ক গ্রন্থ আচার্য জীকে সমগ্র আর্যাবর্তের মূর্ধন্য দার্শনিকররূপে প্রতিষ্ঠিত করে । এই কালজয়ী পুস্তকের উপর তাঁকে নিম্ন পুরস্কারসমূহ প্রদান করা হয় —
সেঠ হরজীমল ডালমিয়া পুরস্কার (১১০০ রুপি)
১৯৫১ সনে হিন্দী সাহিত্য সম্মেলন কর্তৃক 'মঙ্গলাপ্রসাদ পারিতোষিক' পুরস্কার (১২০০ রুপি)
উত্তর প্রদেশ সরকার কর্তৃক সাহিত্য পুরস্কার (১২০০ রুপি)
বিহার রাষ্ট্রভাষা পরিষদ্ কর্তৃক পুরস্কার (১০০০ রুপি)
সাংখ্য দর্শনের পশ্চাৎ শাস্ত্রীজী অন্য দর্শনেরও উচ্চকোটির ভাষ্য প্রণয়ন করেন।
'বেদান্ত দর্শন' এর বিদ্যোদয়-ভাষ্য প্রণয়ন করেন, গ্রন্থটি ১৯৬৬ সনে প্রকাশিত হয়। বেদান্ত ভাষ্যে আচার্য উদয়বীর জী শাঙ্কর মতের সমস্ত অপযুক্তি সপ্রমাণতার সহিত খণ্ডন করেন । তৎপশ্চাৎ বেদান্ত দর্শনের ইতিহাস নামক উচ্চকোটির গ্রন্থ প্রণয়ন করেন ।
বৈশেষিক দর্শন এর বিদ্যোদয়-ভাষ্য ১৯৭২ সনে প্রণয়ন করেন । ন্যায় দর্শনের ভাষ্য ১৯৭৭ সনে প্রণয়ন করেন । তৎপশ্চাৎ মীমাংসা এবং যোগ দর্শনের ভাষ্য প্রণয়ন করেন । আর্য সমাজ সান্তাক্রুজ, বম্বে থেকে ১৯৮৭ সনে "বেদবেদাঙ্গ" পুরষ্কারে সম্মানিত করে ।
মহাবিদ্বান্ আচার্য উদয়বীর জী তাঁর সমগ্র জীবন অতিবাহিত করেছেন দার্শনিক ক্ষেত্রে । আধুনিক ভারতের কপিল খ্যাত মহান এই দার্শনিক ১৯৯১ সনের ১৬ই জানুয়ারি আজমেরে দেহত্যাগ করেন ।
গ্রন্থরাজিঃ
1. কৌটলীয় অর্থশাস্ত্র (১৯২৫ সন)
2. সাংখ্য দর্শন কা ইতিহাস (১৯৫১ সন)
3. সাংখ্য সিদ্ধান্ত (২০১৯ বিক্রমাব্দ)
4. ষড়দর্শনের "বিদ্যোদয়-ভাষ্য"
5.বেদান্ত দর্শন কা ইতিহাস (১৯৭০সন)
6. প্রাচীন সাংখ্য-সন্দর্ভ
7. বাগ্ভটালঙ্কার (১৯২৫ সন) [সংস্কৃত-হিন্দী ব্যাখ্যা]
8. নয়-চন্দ্রিকা ( কৌটিল্য প্রণীত অর্থশাস্ত্রের উপর মাধব যজ্বা লিখিত পরীক্ষার সম্পাদন )
শোধ প্রবন্ধ
9. সাংখ্যসূত্র কা প্রাচীন নাম ঔর ইতিহাস
10. তিলকোপজ্ঞা আর্যা (সাংখ্য বিষয়ে লোকমান্য তিলকের বিবিধ ভ্রান্তিপূর্ণ মতের সপ্রমাণ খণ্ডন)
11. কেন প্রণীতানি সাংখ্যসূত্রাণি
12. পতঞ্জলিপ্রণীতমধ্যাত্মশাস্ত্রম্ মেধাতিতীয় ন্যায়শাস্ত্রম্
13. সাংখ্যসম্বন্ধিশাঙ্করালোচনালোচনম্
14. সপ্তসিন্ধবঃ ( তথাকথিত ইতিহাসজ্ঞ সম্পূর্ণানন্দ তথা দেসাঈ এর ভ্রান্তিপূর্ণ মতের খণ্ডন )
15. দর্শন কী মূল সমস্যা (উত্তর প্রদেশে ১৯৭৯ সনে 'দর্শন পরিষদ' এর অধিবেশনে অধ্যক্ষীয় ভাষণ)
-- বিদুষাং বশংবদঃ