- মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী গীতা পড়াতেন -
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবন চরিত - শ্রী দেবেন্দ্রনাথ ও বাবু ঘাসীরাম , আজমের , পৃষ্ঠা ৭০
- মহর্ষির গীতা ব্যাখ্যা ১ মাসেরও বেশী সময় ধরে করেছিলেন -
- মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী গীতা ব্যাখ্যা করতেন -
- গীতার ' সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ' [ ১৮.৬৬] ব্যাখ্যা -
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবন চরিত - শ্রী দেবেন্দ্রনাথ ও বাবু ঘাসীরাম , আজমের , পৃষ্ঠা ৭২-৭৩
- ১ মাসের বেশী সময় ধরে গীতার ব্যাখ্যা
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবন চরিত - শ্রী দেবেন্দ্রনাথ ও বাবু ঘাসীরাম , আজমের , পৃষ্ঠা ৭৩
কেউ কেউ বলতে পারেন মহর্ষি তখন পৌরাণিক ভাবাপন্ন ছিলেন । তাঁদের জন্য - মহর্ষির দ্বারা গায়ত্রী উপদেশ , মূর্তিপূজার খণ্ডন -
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবন চরিত - শ্রী দেবেন্দ্রনাথ ও বাবু ঘাসীরাম , আজমের , পৃষ্ঠা ৮৪
- মহর্ষির দ্বারা গীতা পাঠের উপদেশ -
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর জীবন চরিত - শ্রী দেবেন্দ্রনাথ ও বাবু ঘাসীরাম , আজমের , পৃষ্ঠা ১০৮
- মহর্ষি গীতার ' যদা যদা হি..' শ্লোককে কখনোই প্রক্ষিপ্ত বলেননি ।
- ব্যাকরণের দক্ষতা পরীক্ষায় মহর্ষি গীতার শ্লোক দিয়েছিলেন পৌরাণিক পণ্ডিতকে -
- মহর্ষির গীতার ' সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ' [ ১৮.৬৬] ব্যাখ্যা -
- মহর্ষি গীতাকে শাস্ত্র বলেছেন -
- মহর্ষির দ্বারা গীতার 'ভ্রাময়ন্ সর্বভূতানি যন্ত্ররূঢ়ানি মায়য়া' [১৮.৬১] ব্যাখ্যা -
- মহর্ষির গীতার ' সর্বধর্মান পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ ' [ ১৮.৬৬] ব্যাখ্যা -
শ্রীমদ্দয়ানন্দ প্রকাশ - স্বামী সত্যানন্দ [ পৃষ্ঠা ৬৫ ]
- মহর্ষির গীতা ব্যাখ্যা সম্পর্কে অভিমত ' রসময় , সারগর্ভিত ও অশ্রুতপূর্ব '
- মহর্ষি স্মৃতি , উপনিষদ ও গীতা পাঠ করে ভক্তদের কৃতার্থ করতেন -
শ্রীমদ্দয়ানন্দ প্রকাশ - স্বামী সত্যানন্দ [ পৃষ্ঠা ৭২ ]
- মহর্ষি প্রতিদিন উপনিষদ ও গীতার কথা শোনাতেন -
- মহর্ষির দ্বারা 'শ্রেয়ান্ স্বধর্মো বিগুণঃ পরধর্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ' [ গীতা ৩.৩৫] ব্যাখ্যা -
- ঘাতকের আক্রমণ প্রতিরোধ করে গীতার ' নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ' [ গীতা ২.২৩ ] বলে হুংকার প্রদান -
- গীতা প্রক্ষিপ্ত নয় , চাইলে আমার শাস্ত্রে শাস্ত্রার্থ করুক- মহর্ষির দৃঢ় বচন
- মহর্ষির চিঠিপত্রে গীতা শ্লোক ব্যবহারের সামান্য কিছু দৃষ্টান্ত -
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর পত্র ও বিজ্ঞাপন , ২য় খণ্ড , পৃষ্ঠা ৮৪৭
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতীর পত্র ও বিজ্ঞাপন , ২য় খণ্ড , পৃষ্ঠা ৮০৩
মহর্ষি দয়ানন্দ সরস্বতী স্বীয় জীবদ্দশায় প্রাথমিকভাবে ভিন্নমত থাকলেও [ যেমন প্রথমে বৈষ্ণব মত খণ্ডন বা শৈব মত মণ্ডন, বিষ্ণু ভাগবতের খণ্ডন ও দেবীভাগবতের মণ্ডন ইত্যাদি ] জীবনের শেষ পর্যন্ত গীতা ত্যাগ করেননি । কেউ যদি বলে তিনি অমুক স্থলে গীতা প্রমাণ নয় বলেছেন [ জীবন চরিতের ৬৫১ , সম্বত ১৯৩৮ ] সেখানে দেখা যায় বিতর্ক বেদ নিয়ে হচ্ছে , শ্রুতি প্রমাণ নিয়ে শাস্ত্রার্থে স্মৃতি প্রমাণ পরতঃপ্রমাণ এবং গ্রহণীয় হবে না এটাই স্বাভাবিক । নতুবা উপরের চিঠিতে মহর্ষি মৃত্যুর ৪ মাস [ ১৯৪০ সম্বত ] আগেও তার একই চিঠিতে গীতার ৩ টি শ্লোক কেন উল্লেখ করবেন ? প্রকৃতপক্ষে গীতার প্রতি অনাবশ্যক ও অযাচিত বিদ্বেষভাবাপন্ন হয়ে কিংবা বিভ্রান্তিবশতঃ এই মতের অনুগামী অনেকে হয়েছেন ।
কেউ কেউ বলেন মহর্ষি মনুস্মৃতিরও উদ্ধৃতি দিয়েছেন ও তাতে প্রক্ষিপ্ততা মানতেন, তবে গীতায় কেন নয় ? এর সহজ সমাধান হলো মহর্ষি নিজে গীতার প্রক্ষেপ তার গ্রন্থে কদাপি মনুর ন্যায় উল্লেখ করেননি । যদি কেউ মহর্ষির পূর্ব কোন মন্তব্য দেখাতে চায় তাঁদের এটাও স্মরণ রাখা উচিত যে মহর্ষির সর্বশেষ গ্রন্থাদি ও চিঠিপত্রই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তরূপে প্রামাণ্য ।
অধিকন্তু মহর্ষি স্বীয় অনুমোদিত পাঠ্যক্রম সংস্কারবিধিতে যা দিয়েছেন তা-ই চূড়ান্তরূপে স্বীকার্য এই বিষয়ে সকল বিদ্বান একমত । সেখানে মহাভারতের উৎকৃষ্ট অংশ পাঠের বিধানে যে গীতারই অনুমোদন হয় তা বলাই বাহুল্য । এছাড়াও সংস্কারবিধি , সত্যার্থ প্রকাশে বর্ণাশ্রম - সৃষ্টিবিষয়ে গীতার প্রভূত শ্লোক উদ্ধৃত হয়েছে যা স্বাধ্যায়ী পাঠক মাত্রেই অবগত । বাহুল্যভয়ে আমরা কতিপয় দৃষ্টান্ত উল্লেখ করছি ।
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা বিষয়ে মহর্ষির জীবনী , সত্যার্থ প্রকাশ থেকে আংশিক উদ্ধৃতি [ যেমন কোথাও গীতার প্রচলিত অর্থকে বেদ বিরুদ্ধ বলা ] বিকৃত করে উপস্থাপন করে করা মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তির সমস্ত খণ্ডন পড়ুন এখানে -