বাল-ব্রহ্মচারী পণ্ডিত অখিলানন্দ, ঝরিয়া
বাল্মীকি রামায়ণের মর্মজ্ঞ বিদ্বান্ পণ্ডিত অখিলানন্দ জী উত্তর প্রদেশের জৌনপুর জনপদের অন্তর্গত পবিত্র গোমতী তট-স্থিত পটখৌলী গ্রামের 'পাঠক' ব্রাহ্মণকূলে পণ্ডিত বাবুরাম জী পাঠকের গৃহে ১৮৮৪ সনের ১লা আগষ্ট জন্মগ্রহণ করেন ।
তাঁর জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার নাম শ্রী মহানন্দ জী পাঠক ; তিনি সন্ন্যাসী ছিলেন । তাঁর পিতামহ পণ্ডিত রামকুবের জী প্রসিদ্ধ বিদ্বান্ এবং সমাজসেবী ছিলেন। তাঁর সুপুত্র পণ্ডিত বাবুরাম জী পাঠক ভারদ্বাজ গোত্রীয় মাধ্যন্দিন-শাখীয় যজুর্বেদী ব্রাহ্মণ ছিলেন। বেদের প্রতি তাঁর অপূর্ব নিষ্ঠা এবং শ্রদ্ধা ছিলো । তাঁর সান্নিধ্যেই বালক রামানন্দের ( ব্রহ্মচারী জীর বাল্য নাম) পালন-পোষণ তথা অধ্যয়ন কার্য সম্পন্ন হয়। পণ্ডিত জী ৫ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়ার পর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন ।
এক বর্ষ একাকী অধ্যয়নের দরুন তাঁর মনে বৈরাগ্যতার ভাব ফুটে উঠে এবং গৃহত্যাগ করে ' ভুসাবল ' নগরে গমন করেন । তৎকালীন সময়ে সেখানে রেলওয়ে ইঞ্জিন মেরামতের সুপ্রসিদ্ধ কারখানা ছিলো । সেই কারখানার প্রধানের সাথে তিনি সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁর প্রতিভার পরিচয় কারখানার কর্মচারীদের মাধ্যমে ইংরেজ ব্যক্তি 'ফোরমৈন' প্রাপ্ত হন । তৎপশ্চাৎ তিনি তার কারখানায় ভালো বেতনের বিনিময়ে পণ্ডিত জীকে একটি কাজ দেন, কিছুকাল তিনি সেখানে অবস্থান করেন । কিন্তু সেখানেও তার বৈরাগ্য ভাব চলে আসে এবং 'আমি ব্রাহ্মণ বালক, আমার কার্য পঠন-পাঠন করানো ' এসব বলে তিনি কারখানার কার্য ত্যাগ করেন তথা বিরক্ত ভাব পোষণ করে আজমের গমন করেন ।
আজমের-এ প্রকৃত সাধুর খোঁজ করতে করতে আবূরোড়-এ চলে আসেন । সেখান থেকে তিনি কানপুরস্থ আর্য সমাজ মন্দিরে উঠেন । সেই সময়ে পূজ্যপাদ স্বামী পূর্ণানন্দ জীর 'ভারতীয় বিদ্যালয়' নামে একটি সংস্থা ছিলো, এই বিদ্যালয়ে বালকদের নিঃশুল্ক সংস্কৃত অধ্যয়নের ব্যবস্থা ছিলো । পণ্ডিত জী উক্ত বিদ্যালয়ে নিযুক্তি হয়ে সংস্কৃত অধ্যয়নে রত হন ।
কানপুরস্থ এই ভারতীয় বিদ্যালয়ে ব্রহ্মচারী অখিলানন্দ জীর প্রথম সম্পর্ক পূজ্য পণ্ডিতপ্রবর শ্রী ব্রহ্মদত্ত জী জিজ্ঞাসুর সহিত হয় । আর এই সম্পর্ক ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ন্যায় জীবনের অন্তিমক্ষণ পর্যন্ত ছিলো ।
কয়েক বর্ষ পশ্চাৎ পূজ্য স্বামী পূর্ণানন্দ জী মহারাজ তাঁর বিদ্যার্থীদের নিয়ে হরদুয়াগঞ্জে ( আলীগঢ়, উত্তর প্রদেশ ) পূজ্য স্বামী সর্বদানন্দ জী মহারাজের নিকট গমন করেন । সেখানে ব্রহ্মচারী জী কয়েক বর্ষ স্বামী সর্বদানন্দ জীর তত্ত্বাবধায়নে তথা নেতৃত্ত্বে থাকেন । সেই সময়ে পণ্ডিত জী পূজ্য পণ্ডিত ব্রহ্মদত্ত জী জিজ্ঞাসু, পণ্ডিত সুরেন্দ্র শর্মা, তথা রাজগুরু ঘুরেন্দ্র শাস্ত্রী জীর সহিত অবস্থান করছিলেন । কিছু দিন পর পূজ্য স্বামী জী বিদ্যালয় বন্ধ করে দেন, অতঃ স্বামী পূর্ণানন্দ জী তাঁর প্রিয়তম শিষ্য অখিলানন্দ জীকে নিয়ে ভ্রমণ-নিমিত্তে গমন করেন ।
বেদের প্রতি পণ্ডিত জীর অসীম ভক্তি লক্ষ্য করে স্বামী পূর্ণানন্দ জী তাঁকে বেদপ্রকাশ এবং সাধারণতয়া 'প্রকাশ' নামে সম্বোধন করেন । ভ্রমণের সন্দর্ভে পণ্ডিত জী পূজ্য গুরু স্বামী পূর্ণানন্দ জী মহারাজের সাথে শাহপুরা নগরে পৌঁছান । সেখানের জঙ্গলে কয়েক বর্ষ গুরুদেবের সাথে অবস্থান করেন । এই দিনগুলোতে ভোজন ব্যবস্থা শাহপুরাধীশ শ্রী নাহরসিংহ জী করেন । অরণ্যে একদিন মধ্যরাত্রে ঘোর বর্ষা হচ্ছিলো । নিরন্তর হৃদয় বিদারক ভয়ংকর এক সিংহের গর্জন শুনেন তাঁরা । গুরুদেব তখন অত্যন্ত স্নেহ-ভাবে বলেন- 'প্রকাশ্ ! এমন পরিস্থিতিতে পরোক্ষ-শক্তির অনুভূতি হয়ে থাকে' ।
১৯১৮ সনে পূজ্যপাদ গুরুদেব স্বামী পূর্ণানন্দ জীর থেকে অন্তিম বিদায় নিয়ে তিনি কাশীতে গমন করেন, এবং কাশীস্থ 'আর্য সমাজ' তথা 'কাশী সেবা সমিতি' এর মাধ্যমে বিবিধ সামাজিক কার্যে রত হন । সেই বছরেরই অন্তে সিঙ্গরৌলীতে (মির্জাপুর) দুর্ভিক্ষ দেখা দেয় । সেখানে 'কাশী সেবা সমিতি' দ্বারা সঞ্চালিত সহায়তা সমিতির সংযোজক হয়ে অন্য কার্যকর্তাদের সহিত ব্রহ্মচারী জী অন্ন তথা ওষুধ বিতরণার্থে গমন করেন ।
১৯১৬ সনে ইংরেজ সরকার দ্বারা জরায়ম পেশা নামক একটি নিয়ম চালু হয়, যার অন্তর্গত দলিত দুঃখী এবং হিন্দু সমাজের নিচু শ্রেণি - ডোম, ভঙ্গী, ধরকার আদি ইত্যাদি জনগোষ্ঠীদের খ্রিষ্টান বানানোর কুচক্র চলে । ১৯১৮ সনে কাশীস্থ আর্য সমাজ এই নিকৃষ্ট কুচক্র দমন করতে ব্রহ্মচারী জীর নেতৃত্বে সংঘর্ষ-সমিতি গঠন করে, সক্রিয় সদস্য ছিলেন পণ্ডিতপ্রবর শ্রী ব্রহ্মদত্ত জী এবং পণ্ডিত শ্রী চুন্নীলাল জী। এই সমিতির সুপ্রয়াস স্বরূপ শতসহস্র হিন্দু নর-নারী বিধর্মী হওয়ার পথ থেকে বেঁচে যায় ।
১৯১৯ সনে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেন । তিনি নেপালী খপড়া কাশীতে 'আর্য-ছাত্রাবাস' স্থাপনা করেন । সেই ছাত্রাবাসে বিদ্যার্থীদের সংস্কৃত অধ্যয়ন তথা তাদের মধ্যে দেশভক্তির ভাবনা প্রদান পণ্ডিত জীর মুখ্য কার্য ছিলো । তাঁর বিশিষ্ট শিষ্যগণের মধ্যে মার্কণ্ডেয়, পরমানন্দ তথা চন্দ্রশেখর আজাদ ছিলেন । এই বিদ্যার্থীগণ তাঁর সান্নিধ্যে সংস্কৃত অধ্যয়ন করেছেন ।
১৯১৯ সনে রৌলট এক্ট এর বিরুদ্ধে উক্ত ছাত্রাবাসের বিদ্যার্থীগণ বিশেষ ভূমিকা রাখেন । এর ফলস্বরূপ উক্ত সংস্থা সরকারের রোষানলে পড়ে । ১৯২১ সনে যখন কংগ্রেসের অধিকাংশ নেতাদের অসহযোগ আন্দোলন করার জন্য কারাগারে বন্দী করা হয়, তখন সেই দিনগুলোতে কাশীতে কংগ্রেসের গতিবিধি সঞ্চালন ব্রহ্মচারী জীই করেছিলেন ।
১৯২৩ সনে অমর শহীদ স্বামী শ্রদ্ধানন্দ জীর নেতৃত্বে কঠোর শুদ্ধি আন্দোলন আরম্ভ হয়। এই শুদ্ধি আন্দোলনের প্রমুখ কার্যক্ষেত্র মথুরা জনপদের ভাণ্ট তহসীল অন্তর্গত মলকানোর শুদ্ধি ছিলো , যার সর্বাধিকারী ( ইনচার্জ) ব্রহ্মচারী জীই ছিলেন। তাঁর সাথে সহায়তায় ছিলেন পণ্ডিত ইন্দ্র বর্মা, শ্রী আত্মারাম ভজনীক তথা ড. সূর্যদেব শর্মা ।
এ ছাড়াও গুড়গাম্ব তথা রোহতকেও তিনি ব্যাপক শুদ্ধি কার্য চালিয়েছেন, যেখানে সহস্রাধিক মুসলিম বৈদিকধর্মে দীক্ষিত হয় ।
১৯৩০ সনের মাঝামাঝি সময়ে 'ঝরিয়া' এর সুপ্রসিদ্ধ সেঠ হরদেব কাশীতে আসেন এবং অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ব্রহ্মচারী জীকে ঝরিয়াতে নিয়ে যান । সেখানেই দেহান্ত পর্যন্ত তিনি তাঁর জীবনের বিবিধ সাধনায় রত থাকেন ।
ব্রহ্মচারী জী তাঁর জীবনে অজস্র শাস্ত্রার্থ করেছেন এবং অভূতপূর্ব সফলতা লাভ করেছেন । তিনি জীবনভর আর্যসমাজের স্বতন্ত্র উপদেশক পদে অবস্থান করে বিবিধ কার্যে রত ছিলেন । তিনি কিছুকাল বেনারসে থাকার পর কাশীস্থ আর্য সমাজের প্রধান পদেও অধিষ্ঠিত ছিলেন । কাশীর বিদ্বানগণের নিকট তিনি অত্যন্ত আদরণীয় তথা সম্মানীয় ছিলেন ।
ব্রহ্মচারী জী সদাচারের মূর্তি, পরম তপস্বী এবং পূর্ণ ব্রহ্মচারী ছিলেন । বাল্মীকি রামায়ণ এবং মহাভারতের উচ্চকোটির বিদ্বান ছিলেন। বাল্মীকি রামায়ণের অভূতপূর্ব টীকা কার্য সমগ্র আর্য-সংসারে অত্যন্ত মহত্ত্বপূর্ণ কর্ম ছিলো ।
উপনিষদ্ শাস্ত্রে তিনি সফল কথাবাচক তথা নির্ভ্রান্ত ব্যাখ্যাতা ছিলেন । তাঁর কারো সহিত বৈর-ভাব ছিলো না, বরং সবার প্রতি সহজ স্বাভাবিক প্রেম ছিলো । তাঁর দিব্য-জীবন, শুদ্ধ বাৎসল্য-স্নেহের ফলস্বরূপ আজ সহস্রাধিক আর্য নর-নারী সমগ্র আর্যবর্তে আর্য সিদ্ধান্তের শ্রেষ্ঠত্ব প্রচারে রত । পণ্ডিত বৈদ্যনাথ জী শাস্ত্রী, পণ্ডিত গঙ্গাধর জী শাস্ত্রী (পাটনা ), পণ্ডিত আত্মানন্দ জী (দিল্লী ) তথা মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত যুধিষ্ঠির জী মীমাংসক তাঁদের মধ্যে প্রমুখ ।
ব্রহ্মচারী জী কাশী প্রবাসকালে গুরুকুল দেবরিয়ায় পণ্ডিত ব্রহ্মদত্তজী জিজ্ঞাসুর সহিত অনেক বছর সঞ্চালন কার্যে নিয়োজিত ছিলেন । কয়েক বর্ষ উক্ত গুরুকুলের আচার্যও ছিলেন । পণ্ডিত জীর সাথে পণ্ডিত ইন্দ্রদেব জী কার্যে সহায়ক ছিলেন। তিনি পূজ্য স্বামী ত্যাগানন্দ জীর দেহান্তের পশ্চাৎ সুপ্রসিদ্ধ গুরুকুল অযোধ্যায় দেহান্তের আগ পর্যন্ত কুলপতি ছিলেন ।
তিনি অনেক স্থানে মহত্ত্বপূর্ণ যজ্ঞ করেছেন । দেহান্তের তিন বর্ষ পূর্বে বিহার প্রদেশে 'পলামূ' জনপদের অন্তর্গত 'গঢ়বা নগরে' এক অভূতপূর্ব চতুর্বেদ পারায়ণ যজ্ঞ সম্পন্ন করেন, যা চৌদ্দ দিন পর্যন্ত প্রাতঃ-সায়ং সমস্ত প্রহরে টানা চলমান হয়েছিলো । এই যজ্ঞের ব্রহ্মা ছিলেন তিনি । সহযোগী হিসেবে তাঁর সাথে ছিলেন পণ্ডিত বিদ্যানন্দ জী (বেণারসী ), পণ্ডিত আর্যভিক্ষু জী (মুগলসরায় ), পণ্ডিত সত্যদেব জী শাস্ত্রী (বেণারসী ) ইত্যাদি বিদ্বান উপস্থিত ছিলেন । নিরন্তর চৌদ্দ দিন যজ্ঞের পশ্চাৎ বেদের উপর তিনি মধুর উপদেশ প্রদান করেছিলেন । এই মহত্ত্বপূর্ণ আয়োজনের সম্পূর্ণ ব্যয় ধর্মনিষ্ঠ কর্মঠ আর্য শ্রী লক্ষ্মীপ্রসাদ গৌরীশঙ্কর জী করেন ।
প্রতিদিন শত সহস্র জনতা সমীপবর্তী গ্রামীণ ক্ষেত্রে এই মহাযজ্ঞে সম্মিলিত হওয়ার জন্য প্রাতঃ কালেই পৌঁছে যেতো । ঝরিয়া প্রবাসকালে বিভিন্ন স্থানে তিনি অনেক বিদ্যার্থীদের সংস্কৃত শিক্ষা প্রদানে রত ছিলেন । ধনবাদ ডী. এ. বী. স্কুলে প্রত্যেক শনিবারে বিদ্যার্থীগণের মধ্যে নিয়মিত রূপে উপদেশ প্রদান তাঁর দেহান্ত পর্যন্ত চলেছে । উক্ত জনপদের সমস্ত ধর্মপ্রেমী পরিবার পণ্ডিত জীর অপূর্ব বিদ্বতা তথা পবিত্রতায় প্রভাবিত ছিলো । জনগণ তাঁকে 'গুরুজী' বলে সম্বোধন করতো ।
আর্য-সমাজের বাইরেও তিনি অত্যন্ত সম্মানীয় এবং প্রভাবশালী ছিলেন । অযোধ্যার 'অদ্বৈতবাদ-মণ্ডল' সংগঠনে তিনি প্রতি বছর যেতেন এবং তাঁর মধুর বেদ-কথা দ্বারা সম্পূর্ণ সাধু-মণ্ডল অত্যন্ত প্রভাবিত হতেন। তাঁর শরীর সর্বদা সুস্থ, সুডৌল তথা পরাক্রমী ছিলো ।
দেহান্তের কয়েক বছর পূর্বে তাঁর চোখে ছানি পড়ে । অপারেশনে ছানি অপসারণ করা হয়, পরন্তু প্রারম্ভ কাল থেকে অতি ব্যায়াম করার দরুন তাঁর স্বাস্থ্যের হানি হয় এবং দৃষ্টির সমস্যা থেকে যায় ।
পণ্ডিত জীর জীবন নিঃস্পৃহ এবং বিচার উদারতম ছিলো । শিখ, খ্রিষ্টান যবনাদি অন্য অবৈদিক মতাবলম্বীদের নিকটও তিনি অত্যন্ত শ্রদ্ধাপূর্ণ ব্যক্তি ছিলেন ।
১৯৬৯ সনের ১৯ অক্টোবর প্রাতঃকাল ১০ ঘটিকায় ঝরিয়া স্থিত আনন্দ-ভবনে এই মহান আর্য বিদ্বানের দেহান্ত হয় ।
গ্রন্থরাজিঃ
1. বালকাণ্ড – অনুবাদক মহামহোপাধ্যায় পণ্ডিত যুধিষ্ঠির জী মীমাংসক তথা পরিশোধক ব্রহ্মচারীজী । গ্রন্থারম্ভের বিবেচনা অংশে রামায়ণের ক্ষেপক অংশের বর্ণনায় প্রস্তুত টীকার বিশেষতার বর্ণনা করা হয়েছে। উক্ত কাণ্ড রামলাল কাপুর ট্রাস্ট দ্বারা ২০২৫ বিক্রমাব্দে ট্রাস্ট গ্রন্থমালার ৩১তম পুষ্প রূপে প্রকাশিত হয় ।
2. অযোধ্যাকাণ্ড - অনুবাদ তথা পরিশোধক ব্রহ্মচারীজী । (২০১৯ বিক্রমাব্দ)
3. অরণ্য, কিষ্কিন্ধা কাণ্ড (২০২১ বিক্রমাব্দ)
4. সুন্দরকাণ্ড (২০২৩ বিক্রমাব্দ)
5. যুদ্ধকাণ্ড – এই কাণ্ডের অনুবাদ ব্রহ্মচারীজী করে যেতে পারেন নাই । পণ্ডিত. বিজয়পাল ব্যাকরণাচার্য দ্বারা ২০২৯ বিক্রমাব্দে অনুবাদ কার্য সম্পন্ন হয় ।
– বিদুষাং বশংবদঃ