হরিদ্বারে অবধূত মথুরাপ্রসাদ নামে একজন উচ্চকোটি যোগী ছিলেন । ১৯১৮ সনে ১২৫ বছর আয়ুতে তিনি দেহত্যাগ করেন । একবার তাঁকে কেউ জিজ্ঞাসা করেছিলো ঋষিদের ব্রহ্মচর্য সম্পর্কে ।
উত্তরে তিনি বলেছিলেন,
" দয়ানন্দ অনেক বড় বীর ছিলেন । এই প্রকার অখণ্ড ব্রহ্মচারীর বর্ণনা গ্রন্থে পাওয়া যায়, দর্শন পাওয়া বিরল । দয়ানন্দ গ্রন্থে বর্ণিত আদর্শ ব্রহ্মচারী ছিলেন ।"
মথুরায় অবস্থানকালে মহর্ষি দয়ানন্দজীর ব্রহ্মচর্য সম্বন্ধে স্বামী সত্যানন্দজী লিখেছেন—
"তিনি বাজারে যাতায়াত করতেন, রাস্তায় গমনাগমন করতেন এবং নদীর ঘাট থেকে বার বার জল নিতেন।
এসব স্থানে শত শত নারী সবসময় আসা-যাওয়া করতো, কিন্তু এই আড়াই বর্ষে কখনো কেউ তাঁকে কোনো নারীর প্রতি দৃষ্টিনিক্ষেপ করতে দেখেন নাই । তিনি সদা নিম্ন মার্গ-বিলোকিনী দৃষ্টি রেখে (নিচের দিকে তাকিয়ে) চলাচল করতেন । তাঁর এই বৃত্তি (আচরণ) সমগ্র মথুরায় সর্বত্র উচ্চ মাত্রায় প্রশংসিত ছিলো । মন্দিরে, ঘাটে, বিশ্রান্তে, পাঠশালায়, বাজারে, হাটে, গৃহে, চৌবেদের আখড়ায় এবং বিজয়াপান মণ্ডলীর মধ্যে— মথুরার সর্বত্র শ্রী দয়ানন্দের সুশীলতা এবং অখণ্ড ব্রহ্মচর্য-ব্রতের গুণ-গান করা হতো ।"