যায় যদি যাক প্রাণও
ঙ্কারের পতাকা হবে না ম্লান
হায়দ্রাবাদের উসামাবাদ, বর্তমান ধারাশিবে যখন রাজাকারদের তৎপরতা চরম পর্যায়ে ছিলো তখন রাজাকারদের কালেক্টর হায়দারী ২জন পাঠান ও ১জন মুসলমান কন্সটেবল নিয়ে ৬ই মে, ১৯৪৮ সালে শ্রী কিশনরাও টেকের ইটের বাড়িতে এসে বললো, 'তোমার বাড়িতে 'ওঙ্কার' পতাকা উড়ছে, এখনই এটা নামাও, নাহলে গুলি করে উড়িয়ে দেবো '।
শ্রী কিশনরাও এগিয়ে এসে বুক চিতিয়ে বললেন, 'দরকারে আমি মরে যাবো তবুও এই পতাকা নামাবো না '। মুখ থেকে শব্দ বের হতে না হতেই হায়দারী পকেট থেকে পিস্তল বের করে কিশনরাওয়ের বুকে গুলি করলো। কিশনরাও ঢলে পড়লেন মাটিতে।রক্তে ভেসে যেতে লাগলো তার বাড়ির উঠোন। হায়দারী পাশের ঘরে ঢুকলো আর কে আছে দেখতে। এদিকে গুলির শব্দ শোনামাত্র তার পত্নী গোদাবরী দেবী ঘরের দেয়ালে ঝুলন্ত বন্দুক হাতে নিয়ে বের হয়ে এলেন। মাটিতে নিজের স্বামীকে রক্তরঞ্জিত দেহে পড়ে থাকতে দেখে একাই ৩ কন্সটেবলকে গুলি করে উড়িয়ে দিলেন। পাশের ঘরে ছিলো হায়দারী। সে ৩জন কনস্টেবলকে মারা যেতে দেখে গোদাবরী দেবীকে পেছন থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে। এরপর সম্পূর্ণ বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
শ্রী কিশনরাও টেকে ও তার ধর্মপত্নী শ্রীমতি গোদাবরী বাঈ এভাবেই নিজের জীবন দিয়েও 'ওঙ্কার'-এর পতাকার অপমান হতে দেননি ।
© বাংলাদেশ অগ্নিবীর