পণ্ডিত রুচিরাম " আর্যোপদেশক "
অদ্বিতীয় আর্যোপদেশক, মহর্ষি দয়ানন্দ জীর অনন্য ভক্ত পণ্ডিত রুচিরাম জীর জন্ম ১৯০৫ সনের ১লা জানুয়ারি মিয়াম্বালী (পাকিস্তান) জেলার জণ্ডাম্বালা গ্রামে।
তাঁর পিতার নাম শ্রী শ্যামদাস । পণ্ডিত জীর শিক্ষা সম্পন্ন হয় লাহোরের ডী.এ.বী হাই স্কুলে । উক্ত বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন তিনি । তৎপশ্চাৎ লাহোরে স্থিত দয়ানন্দ উপদেশ বিদ্যালয়, গুরুদত্ত ভবনে প্রবিষ্ট হন ।
মহান সন্ন্যাসী স্বামী স্বতন্ত্রানন্দজীর প্রেরণায় ১৯২৯ সনে পণ্ডিত জী আরব দেশে বৈদিক ধর্মের প্রচারের নিমিত্তে গমন করেন । পণ্ডিত রুচিরাম জী তাঁর পুস্তকের প্রারম্ভে স্বামী স্বতন্ত্রানন্দজীর উদ্দেশ্যে সশ্রদ্ধ নিবেদন করে বলেন,
“ আমার এই যাত্রার প্রেরণার শ্রেয় আমার পূজ্য আচার্য পরমহংস পরিব্রাজক "শ্রী স্বামী স্বতন্ত্রানন্দ জী মহারাজ" এর নিকট হতে পেয়েছি । কেবল প্রেরণাই নয়, আরবে অবস্থানকালে তিনি নিয়মিত আমার সহিত বিস্তৃত পত্র ব্যবহার করে তাঁর বিবিধ অমূল্য উপদেশ প্রেরিত করেছেন । তাই এই শ্রদ্ধার ফুল ‘আরব মে মেরে সাত সাল’ নামক পুস্তক তাঁর শ্রী চরণে সাদর সমর্পিত করি ” ।
তিনি ইরান, দুবাই, সৌদি আরব সহ আশেপাশের বিভিন্ন যবন রাষ্ট্রে পায়ে হেঁটে একা নির্ভীক যোদ্ধারূপে সর্বত্র বৈদিক ধর্মের পরম সত্য স্বরূপ বজ্রনাদের ন্যায় প্রচার করেছেন । তিনি বলেন,
"আমি সাত বর্ষ সমগ্র আরবে পায়ে হেঁটে বৈদিক ধর্মের প্রচার করেছি এবং আরবের অনেক স্থানে আর্যসমাজের স্থাপনা করেছি । এই দীর্ঘ প্রচারের নিমিত্তে বলতে পারি যে, আর্যসমাজের প্রচার কার্যের জন্য আরব এবং অন্য যবন (ইসলামিক) দেশ গুলোতে এক বিস্তৃত ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে, এই দেশগুলোতে আর্যসমাজের প্রচার হওয়া অতি আবশ্যক । ”
পণ্ডিত রুচিরাম জী ১৯৩৬ সনে প্রচার কার্য সমাপ্ত করে ভারতে ফিরে আসেন । তাঁর মহত্ত্বপূর্ণ যাত্রার বিবরণ ১৯৩৮ সনে 'আরব মে সাত সাল' নামক শীর্ষকে প্রকাশিত হয় । মূল পুস্তক উর্দুতে প্রণয়ন করেন । হিন্দি ভাষান্তর করেন শ্রী ব্রহ্মানন্দ জী করেন ।
মহান এই নির্ভীক আর্যোপদেশকের স্মরণে দক্ষিণ প্রদেশে একটি গুরুকুল স্থাপনা করা হয় ।
-- বিদুষাং বশংবদঃ