আর্য কন্যা বিদ্যালয়, পুরানী মণ্ডী, জম্মু
লালা
দয়াল চন্দ্র এবং তাঁর সহযোগীগণ একটি গ্যারেজে মাসিক দুই রুপি ভাড়ায়
দলিতদের ( নিম্ন বর্ণ ) বাচ্চাদের জন্য সবজি মণ্ডীর পাশে একটি পাঠশালা
স্থাপন করেন ।
পণ্ডিত
রঘুনন্দন জী এই পাঠশালার প্রথম অধ্যাপক ছিলেন । এই কার্যের জন্য
সংস্থাপককে সামাজিক বহিষ্কার পর্যন্ত করেছিলো ঐ অঞ্চলের তথাকথিত উচ্চ
শ্রেণীর হিন্দু সমাজ । পরন্তু সময়ের বিবর্তনে পাঠশালায় বিদ্যার্থীর
সংখ্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে তথা প্রচার হতে থাকে এবং পাঠদানের
কার্যক্রম মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত নির্ধারিত হয় । সে সময় নিকটস্থ আর্য
সমাজ মন্দিরের বিদুষী শ্রীমতী বিদ্যাবতী জী উক্ত পাঠশালার অবৈতনিক
মুখ্যাধ্যাপিকা তথা সঞ্চালিকার পদে দায়িত্বরত ছিলেন ।
১৯৪০
সনে হায়দ্রাবাদ সত্যাগ্রহের সমাপ্তির পর পণ্ডিত শ্রী হরিশ্চন্দ্র জী
বিদ্যার্থী জম্মুতে আসেন । লালা দয়াল চন্দ্র জী আদি বিদ্বানগণের আগ্রহে
তিনি মাসিক ২৫০ রুপির বেতনের কার্য ত্যাগ করে মাসিক ৬০ রুপি বেতনে এই
পাঠাশালার অধ্যক্ষ হন । লক্ষ্য ছিলো এই পাঠশালাকে বৈদিক ধর্মের প্রচারমুখী
করা । ৫-৬ বছর পাঠশালার উন্নতি সাধনে মনোযোগ দেওয়া হয় । এই সময়ে
মধ্যম পর্যায়ের শ্রেণিগুলোতে হিন্দির রত্ন ভূষণ, প্রভাকর, সংস্কৃত এর
প্রাজ্ঞ এবং উচ্চ শ্রেণিগুলোতে কেবল ইংরেজিতে মেট্রিক এবং এফ.এ পর্যন্ত
পাঠদানের প্রবন্ধ হয়েছিলো ।
ঐ
সময়কালে তলোয়ার শিক্ষা, তীর চালানোর শিক্ষা, সঙ্গীত আদি বাদ্যযন্ত্রের
শিক্ষা দানও করা হতো । কন্যা বিদ্যার্থীর সংখ্যা ১২০০ জনেরও অধিক ছিলো ।
কন্যা বিদ্যার্থীদের মধ্যে এরূপ বৃহৎ পরিসরে বৈদিক ধর্মের প্রচারে
কাশ্মীরে আর্য সমাজের প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে । প্রতিদিন বিদ্যালয়ে
সহস্র মানুষের উপস্থিতি হতে থাকে । এর মধ্য থেকে অনেক নারী বিদ্যার্থী
তাদের সমগ্র জীবন বৈদিক ধর্মের প্রচারে অর্পণ করেন ।
সমগ্র কাশ্মীর রাজ্যে হিন্দির প্রভাকর পর্যন্ত পাঠদানের প্রবন্ধ সর্বপ্রথম এই পাঠশালা থেকেই শুরু হয় ।
আর্য
সমাজকে একঘরে করার কারণে উক্ত প্রবন্ধের পাঠদানে কিছুকাল বিঘ্ন ঘটে এবং
পাঠশালার পাঠদানের সর্বোচ্চ শ্রেণি মাধ্যমিক পর্যন্ত রাখা হয় ।
কিছুকাল
পর লালা মুল্করাজ জী এবং মাস্টার চুনী লাল জী উক্ত প্রবন্ধের পাঠদানের
দায়িত্ব গ্রহণ করেন । তাঁদের ১০-১২ বছরের নিরলস পরিশ্রমে এবং নিঃস্বার্থ
সেবা দ্বারা পাঠশালাকে পুনঃ উচ্চ শ্রেণির পাঠদানের ব্যবস্থা করেন তথা
অনেক ভবন নির্মাণ করে পাঠশালার পরিধি বিস্তারে ভূমিকা রাখেন ।
বর্তমানে এই পাঠশালার পাঠদান কার্য এবং প্রভাব খুবই উচ্চ অবস্থানে অবস্থিত । কন্যা বিদ্যার্থীদের সংখ্যা অনেক ।
আর্য কন্যা পাঠশালা, রিহাড়ী মহল্লা, জম্মু
রিহাড়ী
মহল্লায় প্রথমে কেবল দলিত (নিম্ন বর্ণ) জাতের দরিদ্রপল্লি ছিলো । তাদের
কন্যাদের শিক্ষার জন্য আর্য সমাজ পুরানী মণ্ডী এই পাঠশালার স্থাপনা করে ।
প্রাথমিক পর্যায়ে মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্তই পাঠদান দেওয়া হতো ।
মাধ্যমিক শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে বিদ্যার্থিনীগণ আর্য কন্যা বিদ্যালয়ে
ভর্তি হতেন । শ্রীমতী বিদ্যাবতী জী এই পাঠশালারও মুখ্যাধ্যাপিকা ছিলেন ।
আর্য কন্যা পাঠশালা, কচ্চী ছাবনী
এই পাঠশালা আর্য সমাজ দয়ানন্দ মার্গ, জম্মুর অধীনে ।
প্রায়ঃ
৭৬ বর্ষ পূর্বে এই পাঠশালার স্থাপনা তথা শুভারম্ভ হয় । লালা গুরাং
দিত্তা মল জী পাঠশালাটির মুখ্যাধ্যাপক এবং প্রবন্ধ কর্তা ছিলেন । তিনি তাঁর
জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্যন্ত এই পাঠশালার বিকাশ, নির্মাণ তথা উৎকর্ষে ব্রতী
ছিলেন ।
তিনি
এই পাঠশালার শিক্ষাক্রম মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত করেন । পরবর্তীতে
হিন্দির প্রভাকর, রত্ন, ভূষণ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদানের অন্তর্ভুক্ত হয় ।
যখন
লালা ঈশ্বর দাস জী তাঁর চাকরি থেকে অবসর নেন, তখন পাঠশালার সঞ্চালনের
দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করেন । লালা জীও তাঁর জীবনের অন্তিম ক্ষণ পর্যন্ত এই
পাঠশালার সেবা তথা উন্নয়নে ব্রতী থাকেন ।
বর্তমান
সময়ে পাঠশালাটি নগরের প্রমুখ পাঠশালার মধ্যে একটি । এখন শিক্ষাক্রমে উচ্চ
শ্রেণির পাঠদানও সংযুক্ত করা হয়েছে । পাশাপাশি আলাদাভাবে হিন্দি শিক্ষার
শ্রেণিও প্রবর্তিত হয়েছে এবং ধর্ম শিক্ষা তথা সংস্কৃত শিক্ষার বিশেষ
প্রবন্ধ রয়েছে ।
সংস্কৃত বিদ্যাপীঠ
লালা
দয়াল চন্দ্র জীর সহায়তায় পণ্ডিত দয়ারাম জী শাস্ত্রীর (যিনি প্রথমে আর্য
কন্যা বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ছিলেন) পরিচালনায় এই বিদ্যাপীঠের স্থাপনা হয়।
পণ্ডিত
দয়ারাম জী সংস্কৃত বিদ্যার অগাধ ভক্ত ছিলেন । তিনি বিদ্যাপীঠের পাঠদানে,
উন্নয়নে, প্রসারে নিরলস কার্য করেছেন । আর্য কন্যা বিদ্যালয়ের প্রায়ঃ সকল
বিদ্যার্থিনী এই বিদ্যাপীঠে প্রবিষ্ট হন । এই বিদ্যাপীঠে প্রাজ্ঞ
বিশারদ, শাস্ত্রী পরীক্ষার প্রবন্ধ আছে । কয়েকজন বিদ্যার্থিনী শাস্ত্রী
পরীক্ষা উত্তীর্ণও হন ।
কিছুকাল
পশ্চাৎ পণ্ডিত দয়ারাম জী শ্রীনগর চলে আসেন এবং শ্রীনগরস্থ সংস্কৃত
বিদ্যাপীঠ তথা কাশ্মীরস্থ বিদ্যাপীঠ, উভয় পাঠাশালারই সঞ্চালন করতে
থাকেন ।
হিন্দি বিদ্যাপীঠ, রাজা মণ্ডী বাজার
শ্রী
শকুন্তলা সেঠ, শ্রী সুশীলা তুলী, শ্রী হরিশ্চন্দ্র বিদ্যার্থী তথা লালা
দীনানাথ আদি বিদ্বানগণের সহযোগিতায় এই বিদ্যাপীঠের শুভারম্ভ তথা সঞ্চালন
হয় ।
বর্তমানে
এই বিদ্যাপীঠ 'কন্যা হাই-স্কুল' নামে প্রসিদ্ধ । শ্রীমতি দীবাননো
বিদ্যাবতী জী পাঠশালাটির প্রচার, প্রসারের জন্য একটি ভবন দান করেছিলেন ।
ডি.এ.বী (DAV)-হাই স্কুল, জম্মু
ডি.এ.বী হাই স্কুলের স্থাপনার প্রচেষ্টার প্রারম্ভ করেন চৌধুরী বেদদত্ত জী ।
আর্য
সমাজ পুরানী মণ্ডীর পদাধিকারীগণ লালা দয়াল চন্দ্র জী, লালা দীনানাথ জী
আইনজীবী মহাজন দেওয়ান অনন্ত রাম জী, শ্রী হরিশ্চন্দ্র জী বিদ্যার্থী আদি
বিদ্বানের সহযোগিতায় বিদ্যালয়টির স্থাপনা হয়।
চৌধুরী বেদব্রত জী প্রবন্ধ কর্তা ছিলেন।
দীনানাথ মহাজন জী বিদ্যালয়টির প্রধান ছিলেন তথা অন্য কার্যকর্তাগণও আর্য সমাজের সদস্য ছিলেন ।
কিছুকাল
পর থেকেই বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শিথিল হতে থাকে । বিভিন্ন নির্দেশনা,
নিয়মের বিঘ্ন ঘটতে থাকে । পরিণামস্বরূপ চৌধুরী বেদব্রত জী বিদ্যালয় থেকে
সম্বন্ধ বিচ্ছেদ করেন । তৎপশ্চাৎ নতুন সমিতি গঠিত হয় ।
নতুন
সমিতির প্রধানও লালা দীনানাথ জী, মহাজন ছিলেন । অন্য দায়িত্বে প্রফেসর
দৌলত রাম আদি কয়েকজন প্রসিদ্ধ আর্য বিদ্বান, নেতা ছিলেন ।
শ্রী
হরিশ্চন্দ্র জী বিদ্যার্থী ছিলেন এই বিদ্যালয়ের প্রথম প্রবন্ধ কর্তা ।
পরবর্তীতে প্রিন্সিপাল পদে নিযুক্ত হন । তাঁর প্রচষ্টায় বাবা গুরুমুখ
সিংহ জী ২০০০ রুপি এবং আর্য প্রতিনিধি সভা, লাহোর থেকে শ্রী মহাশয় কৃষণ জী,
পণ্ডিত ভীম সেন জী তথা পণ্ডিত বিশ্বম্বর দাস জী ১০০০ রুপি অর্থ সহায়তা
দিতেন । সরকারী স্বীকৃতি এবং আর্থিক সহায়তায় বিদ্যালয়ের আর্থিক স্থিতি
সন্তোষজনক হয় ।
১৯৪৬
সনে বিভিন্ন দ্বন্দ্বে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম স্থগিত হয় । কিছুকাল
পশ্চাৎ বিদ্যালয়টির কার্যক্রম নিকটস্থ 'ন্যাশনাল হাই স্কুল' এর অধীনে চলতে
থাকে । লালা মুল্করাজ জীর প্রেরণায় বিদ্যালয়টির প্রধানগণ আর্য সমাজ
পুরানী মণ্ডী, জম্মু পাঠশালার নিকট বিদ্যালয়টিকে হস্তান্তর করেন ।
বর্তমানে
উক্ত ডি.এ.বী-হাই স্কুলটির কার্যক্রম আর্য সমাজ পুরানী মণ্ডীর অধীনে
চলমান । এই বিদ্যালয়টির আরেকটি শাখা গান্ধী নগরে অবস্থিত । এই শাখায়
মাধ্যমিক শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান দেওয়া হয় । অপর আরেকটি শাখা পঞ্চম
শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান দেওয়া হয় । বিদ্যালয়টি কোটলী কলোনীতে অবস্থিত ।
আর্য শিক্ষা কেন্দ্র স্কুল, গান্ধীনগর
শ্রীমতী
লক্ষ্মী দেবী তথা মহতা শ্রী নিবাস, লালা কৃষ্ণ লাল আদি বিভিন্ন
বিদ্বানগণের সহযোগিতায় এবং গভর্নমেন্ট হাই স্কুলের মুখ্যাধ্যাপিকা শ্রীমতী
বিমলা কৌল জীর সহায়তায় গান্ধী নগরে এই বিদ্যালয়টির স্থাপনা করা হয় ।
মাসিক ৬০ রুপি ভাড়ায় একটি ছোট জায়গায় বিদ্যালয়টির কার্যক্রমের
শুভারম্ভ হয় । কিছু কাল পশ্চাৎ কার্যক্রম কিছুটা শিথিল হলে বিদ্যালয়টি
আর্য সমাজ পুরানী মণ্ডীর নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং ডি.এ.বী স্কুল
(গান্ধী নগর শাখা) নামে নতুন নামকরণ করা হয় তথা মাধ্যমিক শ্রেণি
পর্যন্ত পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয় । ড. অমীর চন্দ্র জী কিছুকাল প্রবন্ধ
পদে ছিলেন ।
ডি.এ.বী স্কুল, অখনূর
আর্য
সমাজ, অখনূর এর সংস্থাপকগণ দলিতদের (নিম্ন বর্ণ) সন্তানদের শিক্ষাদানের
জন্য একটি বাজারের ছোট একটি জায়গা ভাড়া করে প্রাথমিক পর্যায়ে পাঠশালা
শুরু করেন । ফলবশতঃ তথাকথিত উচ্চ বর্ণের লোকজন বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে
পাঠশালাটি বন্ধ করে দেয় এবং দলিতদের উপর নির্যাতন চালায় । আর্য
সমাজের উপর বিভিন্ন আক্রমণ করে এবং ক্ষতি করে ।
এক
মহাশয় নগরের বাইরে কিছু অংশ ভূমি দান করেন । সেখানে আর্য সমাজের
প্রধানগণ নতুন স্কুলটি স্থাপনা করে কার্যক্রম শুরু করেন । ভবন নির্মাণে
কিছু সময় বিঘ্ন ঘটে । মহারাজা হরিসিংহ জীর আজ্ঞায় স্কুলটির সমস্ত ভবনের
নির্মাণ কার্য সমাপ্ত হয় ।
বর্তমানে
স্কুল নির্মাণের স্থানটি নগরের অভ্যন্তরে অবস্থিত । বিদ্যালয়টি
অত্যন্ত লোকপ্রিয় এবং সব বর্ণের বিদ্যার্থীরা সমানরূপে বিদ্যালয় থেকে
শিক্ষা গ্রহণ করছে ।
আর্য কন্যা পাঠশালা, ঊধমপুর
আজ
থেকে ৭৬ বর্ষ পূর্বে ঋষি বোধ উৎসবে এই কন্যা পাঠশালার স্থাপনা হয়।
পাঠশালাটির সংস্থাপক ছিলেন লালা ঢেরা মল জী (আইনজীবী) , স্বর্গীয় লালা
জগন্নাথ জী (আইনজীবী) তথা ইনাদের কিছু উৎসাহী সহযোগীগণ ।
এই
পাঠশালার উদ্বোধন শ্রী হরিশ্চন্দ্র জী, বিদ্যার্থী করেন। আরও ভূমি ক্রয়
করে পাঠশালাটির পরিধির বিস্তার করা হয় এবং অনেক সুন্দর ভবন নির্মান করা
হয় । বর্তমানে উচ্চ শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান দেওয়া হয় । এই পাঠাশালায় ৪০০
জনের বেশির বিদ্যার্থিনী শিক্ষা গ্রহণ করে । পাঠশালার মুখ্যাধ্যাপিকা
শ্রীমতী রাজ দুলারী জী দেবী আর্য সিদ্ধান্তের দৃঢ় পক্ষপাতী । লালা
বদ্রীনাথ, শ্রী বেদপ্রকাশ খন্না তথা অন্য আর্য বিদ্বানগণের সহযোগিতায় এই
কন্যা পাঠশালা এক অনন্য গৌরবে অবস্থান করছে ।
আর্য কন্যা পাঠশালা, মীরপুর
মীরপুরের
আর্য কন্যা পাঠশালা একটি আদর্শ সংস্থা । এই পাঠশালার মুখ্যাধ্যাপিকা শ্রী
মাতা সীতা দেবী জী (বানপ্রস্থা, জ্বালা-পুর) মহাসতী মাতা দীওয়ান দেবী জী,
শ্রী দুর্গা দেবী, ইন্দ্রা দেবী জী অবৈতনিকরূপে অনেক বর্ষ নিরন্তর সেবা
করেছেন তথা অন্য আর্যগণ নারী বিদ্যার্থীদের শিক্ষা জীবন উচ্চ পর্যায়ে
নেওয়ার জন্য অত্যন্ত কঠোর প্রযত্ন করেছেন । মহাশয় রাম ভোজ জী পাঠশালার
কয়েকটি সুন্দর ভবন নির্মাণে সহায়তা করেছিলেন । এ ছাড়া ৬০০ রুপি আর্থিক
সহায়তাও করেছিলেন তিনি । স্বর্গীয় মহাশয় জগতরাম জী অবৈতনিকরূপে অনেক
বর্ষ নিরলস সেবা করেছেন ।
বিদ্যার্থিনীদের
মধ্যে বৈদিক সিদ্ধান্তের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের সর্বথা প্রচেষ্টা করেছেন
পাঠশালার শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ এবং অভূতপূর্ব সফলতাও অর্জন করেছিলেন তাঁরা ।
পাঠশালাটির কার্যক্রম ১৯৪৭ সনে দেশ বিভাজনের পর পাকিস্তানীদের আক্রমণে সমাপ্ত হয় ।