ঋষি ভক্তির অনুপম‌ নিদর্শন পণ্ডিত চমূপতি জী


 
পণ্ডিত চমূপতি জী ছিলেন একজন উচ্চকোটির কবি । কবি-হৃদয় পণ্ডিত চমূপতি জীর ঋষি-ভক্তি তাঁর সাহিত্যে যত্র-তত্র সর্বত্র উপলব্ধ ।
তাঁর সাহিত্য, লেখনী এবং কবিতায় যেখানেই মহর্ষি দয়ানন্দ জীর অনুধ্যান প্রতীয়মান, পাঠকগণ তা অধ্যয়নের সময় প্রতি মূহুর্তে অনুভব করবে ভক্তি বিলীন আচার্য চমূপতি জীর হৃদয়-দ্যুতির অনুপমেয় দৃষ্টান্ত । তিনি এতোটাই ভাবুক ছিলেন যে‌, স্বামী সর্বানন্দ জী মহারাজ বলেন‌,
" একবার গৃহস্থ জীবনের বৈদিক আদর্শ বিষয়ে‌ প্রবচনের‌ সময় একটি বেদমন্ত্রের‌ ব্যাখ্যানে তিনি সভায় উপস্থিত সকল শ্রোতাদের অশ্রুপাত করিয়ে দেন । সকল শ্রোতাদের চক্ষু থেকে অবিরাম ধারায় অশ্রুকণা ঝরিত হতে থাকে । পণ্ডিত জী স্বয়ং নিজে‌ও ক্রন্দন করেছেন । "
তাঁর জ্যেষ্ঠ পুত্র শ্রী ড. লাজপতরায় জীর বয়স পণ্ডিত জীর দেহান্তের কেবল ১৩ বছর ছিলো‌, পরন্তু অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন তিনি । অসাধারণ স্মৃতির অধিকারী ছিলেন । তিনি বলেন,
"পণ্ডিত জীর দেহাবসানের কয়েক মাস‌ পূর্বে একবার মহাত্মা হংসরাজ জী লাহোরে মহর্ষি বলিদান পর্বের অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষতায় নিযুক্ত ছিলেন । পূজ্য পণ্ডিত চমূপতি জী মহর্ষিকে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদানের সময় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে অশ্রু ঝরাতে থাকেন । অনুষ্ঠানে পণ্ডিত জী মহর্ষির জীবন যখন চিত্রিত করেন, মহাত্মা হংসরাজ জী‌র দুই নয়ন‌ও অশ্রুসজল হয়ে যায় । শ্রোতা‌গণ‌‌ও অঝোরে কাঁদতে থাকে । "
ড. লাজপতরায় জী আর‌ও বলেন,
''পণ্ডিত জী দীপাবলির দিন ঋষিবরের তপ, ত্যাগ এবং বলিদানের স্মৃতি স্মরণের সময় অনেকবার অশ্রুবর্ষণ করেছেন । যখন অশ্রুসজল নয়নে ঋষিবরকে নিয়ে প্রবচন দিতে থাকেন তখন সভায় উপস্থিত নর, নারী,বৃদ্ধ‌ সহ সকল শ্রোতা ক্রদন করতে থাকে । "
লাহোরের এক আর্য বিদ্বান লালা বরকতরাম জী, থাপর 'আর্য মুসাফির' সাপ্তাহিক উর্দু পত্রিকায় পণ্ডিত জীর দেহান্তে 'হায় পণ্ডিত চমূপতি !' শীর্ষকে লিখেন,
" এবং তিনি স্বামী দয়ানন্দ জীর অনন্য ভক্ত ছিলেন । যখন‌ই তাঁর (মহর্ষি দয়ানন্দ জীর) যোগ্যতা, পবিত্রতা এবং ব্রহ্মচর্য নিয়ে অনুধ্যান এবং প্রবচন পণ্ডিত জী তাঁর জ্ঞানপ্রসূতা বাণী দ্বারা দিতেন, তখন তাঁর দুই নয়ন অশ্রুসজলে পূর্ণ হয়ে যেতো । "

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.