ইংরেজি ভাষায় বিবিধ শ্রেষ্ঠ সাহিত্যের প্রণয়নকর্তা পণ্ডিত ধারেশ্বর জী দক্ষিণস্থ হায়দ্রাবাদের নিবাসী ছিলেন ।
গুরুকূল কাঁগড়ীর ইংরেজি ' বৈদিক ম্যাগাজিন ' মাসিক পত্রিকায় তাঁর বিবিধ মহত্ত্বপূর্ণ প্রসিদ্ধ লেখ প্রমুখতায় ছাপা হতো ।
যখন কাঁগড়ী থেকে এই পত্রিকার প্রকাশন বন্ধ হয়ে যায় তখন পণ্ডিত ধারেশ্বর জী পত্রিকাটি হায়দ্রাবাদ থেকে প্রকাশিত করা শুরু করেন এবং তাঁর অন্তিম আয়ু পর্যন্ত প্রকাশিত হতে থাকে ।
উসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যক্ষ পদে তিনি নিযুক্ত ছিলেন তথা অন্তিম আয়ু পর্যন্ত কন্যা গুরুকূল বেগম পেট, হায়দ্রাবাদে কার্যরত ছিলেন । ধারেশ্বর জী প্রায়ঃ ১০০ বর্ষ আয়ু প্রাপ্ত করেছিলেন ।
লেখন কার্য —
1. বেদমন্ত্রার্থ প্রকাশ
2. যজুর্বেদ তথা ঋগ্বেদ এর 'উদ্বয়ং তমসস্পরি' (৩৮/২৪) তথা 'উপত্বাগ্নে দিবেদিবে' ( ১/১/৫) মন্ত্রদ্বয়ের সংস্কৃত তথা হিন্দি ব্যাখ্যা ।
পণ্ডিত জী ইংরেজিতে 'আত্মা' নামে বিবিধ প্রসিদ্ধ গ্রন্থ রচনা করেছেন যা বৈদিক প্ল্যাটফর্ম শীর্ষক গ্রন্থমালায় সংকলিত হয়েছে ।
উক্ত গ্রন্থের বিবরণ এই প্রকার --
1. The Supreme aim of Life.
হিন্দি, মারাঠী, তেলেগু তথা তামিল ভাষায় ভী অনূদিত ।
2. Love of God and God of Love. ঋগ্বেদ. ৩/৪১/৭ নং মন্ত্রের ব্যাখ্যা ।
3. The super man যজুর্বেদ. ৩৮/৩৯ নং মন্ত্রের ব্যাখ্যা ।
4. Way from woe to weal.
5. Madman's dream.
6. Scientific Beauty of Sanskrit.
7. How to shape our course of life ?
8. Self respect and self-help.
9. The three fold need and duty of mankind.
10. Reason, Revelation and Religion.
11. The Ramayan : What can it teach us ?
12. Gems of thoughts from the Vedas.
13. Vedic Teachings and Ideals.
ড. রামকৃষ্ণ গোপাল ভাণ্ডারকর লিখিত 'প্রপন্ন প্রলপিত' শীর্ষক মারাঠী গ্রন্থে বৈদিক তত্ত্বজ্ঞান এবং উপাসনার তুলনা করে উপনিষদ্ প্রতিপাদিত তত্ত্বজ্ঞান, গীতায় অভিব্যক্ত ভক্তি সিদ্ধান্ত তথা তুকারাম আদি মহারাষ্ট্রের সন্তগণের কবিতায় ব্যক্ত ভক্তিবাদকে শ্রেষ্ঠ ঘোষিত করা হয় ।
পণ্ডিত জীর 'আত্মা' নামক গ্রন্থে ড. রামকৃষ্ণ লিখিত গ্রন্থের বিস্তৃত সমীক্ষা প্রস্তুত করে উক্ত নামে পুস্তকরূপে দয়ানন্দ জন্ম শতাব্দী গ্রন্থমালার অন্তর্গত ১৯৮১ বিক্রমাব্দে মহাত্মা নারায়ণ স্বামী দ্বারা প্রকাশিত হয় ।
এই গ্রন্থের পরিশিষ্ট ভাগ "Vedic Ideals" শীর্ষকে ১৯২৭ সনে পৃথকভাবে প্রকাশিত হয় ।
—- বিদুষাং বশংবদঃ