চতুর্বেদ থেকে মানব জীবনের জন্য অত্যন্ত উপযোগী ১০০-১০০ মন্ত্রের চারটি সুন্দর শতকের প্রণেতা স্বামী অচ্যুতানন্দ সরস্বতী জীর জন্ম ১৮৫৩ সনে অবিভাজিত পাঞ্জাবের সরগোধা জেলার খুশাব নামক কস্বে নগরে ।
স্বামী জী অদ্বৈত বেদান্তের বিচারধারায় দীক্ষিত সন্ন্যাসী ছিলেন এবং একটি সন্ন্যাসী-মণ্ডলও গঠন করেছিলেন ; এই মণ্ডলের মণ্ডলেশ্বর পদে অবস্থান করেন তিনি । স্বামী জী সংস্কৃতের অপ্রতিম বৈদুষ্য ছিলেন তথা তাঁর অনেক সংখ্যক শিষ্য ছিলো ।
একবার মহর্ষি দয়ানন্দ জীর সহিত বেদান্ত বিষয়ে বিচারও (শাস্ত্রার্থ ) হয়েছিলো তাঁর ।
তিনি অদ্বৈতমত অনুসারে উপনিষদের উপর এক টীকাও প্রণয়ন করেন । স্বামী জীর নিকট সংস্কৃত শাস্ত্রের অধ্যয়ন করেছিলেন আর্য জগতের মহামনীষী পণ্ডিত গুরুদত্ত জী । পণ্ডিত গুরুদত্ত বিদ্যার্থী জীর প্রেরণায় স্বামী অচ্যুতানন্দ অদ্বৈতবাদ পরিত্যাগ করেন এবং ১৮৮৮ সনে তাঁর স্বীয় প্রতিষ্ঠিত সন্ন্যাসীমণ্ডল ত্যাগ করে আর্যসমাজে যোগ দেন । তৎপশ্চাৎ তিনি আজীবন বৈদিক ধর্মের প্রচারে ব্রতী হন ।
১৯৪১ সনের ৩০ সেপ্টেম্বর ৮৮ বর্ষ আয়ুতে তিনি দেহত্যাগ করেন ।
লেখন কার্য –
1. ব্যাখ্যান মালা – বেদ, উপনিষদ তথা বিবিধ সংস্কৃত সাহিত্য থেকে সংগৃহীত সূক্তিসমূহের বিশাল সংগ্রহ । এ পুস্তকে ৫২টি বিবিধ বিষয়ে সুভাষিতকে একত্রিত করা হয়েছে । পুস্তকের হিন্দি অনুবাদ যজ্ঞদেব শাস্ত্রী জী করেছেন ; গোবিন্দরাম হাসানন্দ, দিল্লি থেকে প্রকাশিত করা হয় ।
মূল গ্রন্থ ১৯০৫ সনে বৎসলা যন্ত্রালয়, বড়ৌদা থেকে মুদ্রিত হয়ে প্রকাশিত হয়।
2. চতুর্বেদ শতকম – আর্য প্রাদেশিক সভা থেকে প্রকাশিত । ঋগ্বেদ শতক (১৯৬৩,জুলাই) ; অথর্ববেদ শতক ( ১৯৬৪, জুলাই-আগষ্ট ) ; ( ১৯৬৬, নভেম্বর ) পুস্তকরূপে পুনঃ প্রকাশিত হয় ।
3. বেদ জ্যোতি ( ২০২৬ বিক্রমাব্দ )
শ্রী ভারতেন্দ্রনাথ জী 'জনজ্ঞান' এর বিশেষাঙ্করূপে উক্ত শতক গ্রন্থগুলোকে 'বেদজ্যোতি' নামে ২০২৬ বিক্রমাব্দে প্রকাশিত করেন ।
4. আর্যভিবিনয় ( ২য় ভাগ ) – এই গ্রন্থ মহর্ষি দয়ানন্দকৃত আর্যাভিবিনয় এর পূরক গ্রন্থ বলা যায় । গ্রন্থে সাম এবং অথর্ববেদ মন্ত্রের সার্থ সঙ্কলন উপলব্ধ ।