পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী

পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী
       পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী 


আর্য জগতের‌ অদ্বিতীয় শাস্ত্রজ্ঞ, বাগ্মী তথা প্রসিদ্ধ বৈদিক বিদ্বান পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী মেরঠ‌ জেলা‌র পরীক্ষিতগঢ় গ্রামে পণ্ডিত হাজারীলাল স্বামী জীর গৃহে‌ ১৮৬৭ সনের‌ ৩১শে মে জন্মগ্রহণ করেন । 

প্রারম্ভিক শিক্ষা তাঁর পিতার সান্নিধ্যে সম্পন্ন হয় । ৯ বছর বয়সে পণ্ডিত জীর‌ যজ্ঞোপবীত সংস্কার সম্পন্ন হয় এবং গায়ত্রী মন্ত্রে দীক্ষিত হন । ১১ বছর বয়সে তিনি শীতলা রোগে আক্রান্ত হন । ফলস্বরূপ তাঁর একটি চক্ষু নষ্ট হয়ে যায় ।

 গঢ়মুক্তেশ্বরে‌ তিনি পণ্ডিত লজ্জারাম জীর‌ অধীনে‌ সমগ্র‌ সংস্কৃত সাহিত্য‌ অধ্যয়ন তথা পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করেন, সাথে অন্যাদি শাস্ত্র‌ও অধ্যয়ন করেন । ১৯৪০ বিক্রমাব্দে পণ্ডিত জী মহর্ষি দয়ানন্দ বিরচিত অমর গ্রন্থ সত্যার্থ প্রকাশ, ঋগ্বেদাদিভাষ্য‌ ভূমিকা‌ তথা বেদাঙ্গপ্রকাশ‌ আদি‌ সমগ্র‌ গ্রন্থ‌ বিধিবৎ অধ্যয়ন করেন, ফলস্বরূপ তিনি অত্যন্ত গভীরভাবে আর্য সমাজের প্রতি আকৃষ্ট হন । 

পুনঃ ১৯৪১ বিক্রমাব্দে‌ দেহরাদুন‌-এ তিনি পণ্ডিত যুগলকিশোর জীর অধীনে অষ্টাধ্যায়ী তথা‌ মহাভাষ্য‌ পরিপূর্ণভাবে আয়ত্ত করেন । মহর্ষি দয়ানন্দ জীর গ্রন্থসমূহের লিপিকর্তা‌ পণ্ডিত দিনেশরাম‌ জীর অধীনেও তিনি অধ্যয়নের‌ সুযোগ পেয়েছিলেন ।


মেরঠের‌ প্রসিদ্ধ আর্য বিদ্বান পণ্ডিত ঘাসীরাম জীর‌ সংস্পর্শে আসার পর‌ পণ্ডিত জী আর্য‌ সমাজের‌ সভাসদ‌ হন‌ । ১৮৮৭ সনে যখন‌ তৎকালীন পশ্চিমোত্তর‌ প্রদেশ তথা অবধ‌-এ ( বর্তমান উত্তরপ্রদেশ ) আর্য প্রতিনিধি সভার স্থাপনা হয় তখন‌ পণ্ডিত জী‌ সেই সভাতে‌ যোগ দেন । তিনি কিছুকাল মেরঠের দেবনাগরী বিদ্যালয়ের‌ও অধ্যাপক ছিলেন । 

যখন‌ প্রসিদ্ধ পৌরাণিক পণ্ডিত অম্বিকাদত্ত ব্যাস মেরঠে‌ এসে‌ পৌরাণিক সিদ্ধান্ত প্রচার করতে থাকেন‌ তখন পণ্ডিত তুলসীরাম জী‌ প্রবল যুক্তি‌ তথা শাস্ত্রীয় প্রমাণ দ্বারা ‌অম্বিকাদত্তকে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন । এর ফলে দেবনাগরী‌ বিদ্যালয়ের প্রবন্ধক তাঁর উপর রুষ্ট হয়ে যায় । পণ্ডিত জী‌ও ঐ বিদ্যালয়কে ত্যাগপত্র দেন এবং সর্বাত্মনা আর্য‌সমাজের‌ প্রচার‌, প্রসার তথা বিবিধ কার্যে‌ নিজের জীবনকে পরিপূর্ণভাবে সমর্পিত করেন ।


             আর্যসামাজিক জীবন


পণ্ডিত তুলসীরাম জী‌ আর্য জগতের উচ্চকোটির‌ শাস্ত্রার্থ মহারথী হিসেবে খ্যাত তথা কুচেসর‌, মবানা‌, পরীক্ষিতগঢ়, আরা‌, দানাপুর‌, কিরানা‌ আদি অনেক স্থানে‌ অবৈদিক মতাবলম্বীদের শাস্ত্রার্থ সমরে চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছেন । ১৯৪৮ বিক্রমাব্দে আর্য‌ প্রতিনিধি সভা পশ্চিমোত্তর প্রদেশে উপদেশক পদে‌ নিযুক্ত হন তথা‌ বিভিন্ন রাজ্যে‌র সর্বত্র‌ বেদ প্রচার প্রবলভাবে করতে থাকেন ।  

১৯৫০ বিক্রমাব্দে মহর্ষি দয়ানন্দ জীর শিষ্য‌ পণ্ডিত ভীমসেন‌ শর্মা জী পণ্ডিত তুলসীরাম জীকে‌ প্রয়াগস্থিত তাঁর সরস্বতী যন্ত্রালয়ের প্রবন্ধক হিসেবে নিযুক্ত করেন । অতঃ তিনি প্রয়াগে‌ গমন‌ করেন এবং পণ্ডিত ভীমসেন‌ শর্মা জীর‌ সহযোগী হন । এক‌ইসাথে‌ তিনি লেখন কার্য‌ তথা‌ মাসিক পত্রিকা " আর্য সিদ্ধান্ত " সম্পাদনে‌ ভীমসেন জীকে‌ সহায়তা করতে থাকেন ।


১৯৫৫ বিক্রমাব্দে পণ্ডিত জী মেরঠে‌ "স্বামী প্রেস" স্থাপনা করেন‌ তথা‌ বিবিধ‌ সাহিত্য‌ লেখন‌ এবং প্রকাশনের মহান্‌ সারস্বত যজ্ঞ আরম্ভ করেন । ১৮৯৭ সনে‌র জানুয়ারি মাসে‌ তিনি " বেদপ্রকাশ‌ " নামক মাসিক পত্রের‌ প্রকাশন করেন । এই মাসিক পত্রিকা আর্য‌ জগতের‌ ইতিহাসে অত্যন্ত প্রসিদ্ধ‌, প্রভাবপূর্ণ তথা লোকপ্রিয়‌ অবস্থানে অবস্থিত । এই পত্রিকায় আর্য‌ সিদ্ধান্তের শ্রেষ্ঠত্ব মণ্ডন তথা‌ আর্য‌ সমাজের উপর‌ মিথ্যাচার‌, ভ্রান্তিপূর্ণ আক্ষেপসমূহ প্রবলভাবে সপ্রমাণ খণ্ডন করা হতো ।  

আর্য সমাজের‌ তৎকালীন গতিবিধি তথা‌ অন্য‌ অবৈদিক মতাবলম্বীদের সহিত‌ শাস্ত্রার্থ‌, বাদ-বিবাদ‌ তথা বিবিধ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য‌ জানার‌ জন্য এই মাসিক পত্রিকার ফাইল অতীব মহত্ত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ।


 ১৮৯৮ সনে‌ পণ্ডিত তুলসীরাম‌ জী পণ্ডিত লেখরাম‌ আর্য‌পথিক স্মৃতিতে এক উপদেশক বিদ্যালয় স্থাপিত করেন । এই বিদ্যালয়েই পণ্ডিত সত্যব্রত শর্মা‌, পণ্ডিত রুদ্রদত্ত শর্মা‌, পণ্ডিত জ্বালাদত্ত শর্মা‌, পণ্ডিত মণিশঙ্কর‌, পণ্ডিত মনুদত্ত তথা স্বামী ওমকার‌ সচ্চিদানন্দ আদি প্রসিদ্ধ বিদ্বানগণ অধ্যয়ন‌ করেছেন তথা‌ উপদেশক পদে‌ অধিষ্ঠিত হয়ে আর্য‌ সিদ্ধান্তের প্রচার‌ সর্বত্র করেছেন ।


১৯০৯ থেকে ১৯১৩ সন‌ পর্যন্ত পণ্ডিত তুলসীরাম জী আর্য‌ প্রতিনিধি সভার প্রধান ছিলেন‌ । তাঁর কার্যকালেই সংযুক্ত‌ প্রান্তের গভর্নর‌ স্যার‌ " জেমস‌ মেস্টন‌ " ১৯১৩ সনে‌র ৮ই আগষ্ট গুরুকূল‌ বৃন্দাবনে আসে‌ন‌ তথা‌ তিনি গুরুকূল শিক্ষা প্রণালী পর্যবেক্ষণ করে অত্যন্ত মুগ্ধ হন এবং অতীব প্রশংসা করেন । সেই সময়ে পণ্ডিত জী গুরুকূলে‌ শিক্ষণ‌ কার্যে‌‌ও প্রধান পদে নিযুক্ত ছিলেন ।

১৯১৫ সনের‌ ১৭ জুলাই বিশুচিকা‌ রোগে‌ আর্য‌ জগতের এই উচ্চকোটির বিদ্বান দেহত্যাগ‌ করেন


                   সাহিত্য‌ সাধনা‌


পণ্ডিত‌ জী‌ তাঁর প্রগাঢ়তা পূর্ণ লেখন‌ দ্বারা আর্য‌ সমাজকে‌ অত্যন্ত মহত্ত্বপূর্ণ সাহিত্য‌ প্রদান করেছেন । বিবিধ‌ শাস্ত্রের‌ টীকা‌, ভাষ্য‌ আদি‌ অতিরিক্ত খণ্ডন-মণ্ডনে‌ অত্যন্ত মহত্ত্বপূর্ণ গ্রন্থ প্রণয়ন করেছেন । বৈদিক সিদ্ধান্তের উপর‌ অবৈদিকদের‌ সমস্ত ভ্রান্তিপূর্ণ মিথ্যাচার‌ তথা‌ আক্ষেপ এবং মহর্ষি‌ দয়ানন্দ জীর‌ অমর‌ কীর্তিসমূহের উপর‌ আক্ষেপের‌ স্বপ্রমাণ‌ উত্তর‌ যথোচিতভাবে‌ প্রদানপূর্বক অবৈদিকদের‌ চূর্ণ-বিচূর্ণ করেছেন ।



গ্রন্থরাজিঃ


1.‌ ঋগ্বেদ ভাষ্য‌ – মহর্ষি দয়ানন্দ জী ঋগ্বেদের‌ ৭ম মণ্ডলের‌ ৬১তম সূক্তের‌ ২য় মন্ত্র‌ পর্যন্ত‌ ভাষ্য‌ সম্পন্ন করেছিলেন । পরবর্তীতে অবশিষ্ট মণ্ডলের‌ ভাষ্য পণ্ডিত জী আরম্ভ‌ করেন‌ যা‌ " বেদপ্রকাশ‌ " পত্রিকায় ১৯১৬ সনের জুলাই মাস‌ পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে । পণ্ডিত জীর‌ দেহান্তের‌ পর‌ তাঁর অনুজ‌ পণ্ডিত ছুট্টনলাল জী‌ পরবর্তী মণ্ডলের‌ ভাষ্য‌ করতে থাকেন । 

দুঃখের বিষয়‌ পণ্ডিত তুলসীরাম কৃত ঋগ্বেদের‌ এই অবশিষ্ট মণ্ডলের‌ ভাষ্য পুস্তকরূপে‌ প্রকাশিত হয় নাই । 



2.‌ সামবেদ ভাষ্য‌ – পণ্ডিত জী‌ সামবেদ‌ ভাষ্য‌ সংস্কৃত তথা হিন্দী উভয় ভাষাতেই সম্পন্ন করেন । আরম্ভ‌ করেন ১৮৯৮ সনে‌র ২৪ মে‌ এবং প্রকাশিত হতে থাকে মাসিক পত্রিকায় । তৎপশ্চাৎ সম্পূর্ণ ভাষ্য‌ দুই ভাগে মেরঠের‌ স্বামী প্রেসে‌ ১৯৫৭ বিক্রমাব্দে‌ পুস্তক আকারে বাঁধানো হয় । কালান্তরে‌ সার্বদেশিক আর্য‌ প্রতিনিধি সভা তথা দয়ানন্দ সংস্থান পণ্ডিত জীর‌ এই মহত্ত্বপূর্ণ ভাষ্য‌কে চতুর্বেদ ভাষ্য প্রকাশন‌ যোজনার‌ অন্তর্গত প্রকাশিত করে ।


3.‌ উপনিষদ ভাষ্য‌ – পণ্ডিত জী ঈশ‌, কেন, কঠ, মুণ্ডক, শ্বেতাশ্বতর‌ উপনিষদের উপর সংস্কৃত তথা হিন্দীতে প্রৌঢ় ভাষ্য‌ প্রণয়ন করেন‌ । ভাষ্য‌ ১৮৯৭ সনে‌ প্রকাশিত হয় ।


 

4.‌ মনুস্মৃতি ভাষ্য‌ – পণ্ডিত জী মনুস্মৃতির অত্যন্ত পাণ্ডিত্যপূর্ণ‌ তথা গাম্ভীর্যপূর্ণ ভাষ্য প্রণয়ন করেন । যা‌ ১৯০৯ সনে প্রকাশিত হয় । ৯ম সংস্করণ ১৯৭৯ বিক্রমাব্দ পর্যন্ত প্রকাশিত হয় । এই ভাষ্য‌ তাঁর অপর লোকপ্রিয়তা সূচিত করে ।


5. ষড়দর্শন ভাষ্য‌ – পণ্ডিত জী সাংখ্য, যোগ‌, ন্যায়, বৈশেষিক, বেদান্ত তথা মীমাংসা ( ২৫টি সূত্র‌ ) দর্শনের‌ পাণ্ডিত্যপূর্ণ‌ তথা‌ যুক্তিপূর্ণ ভাষ্য‌ প্রণয়ন করেন । তাঁর ষড়দর্শন ভাষ্যের অনেক সংস্করণ বিদ্যমান । 


6.‌ বিদুরনীতির‌ ভাষ্য‌ প্রণয়ন‌ করে‌ন এবং গ্রন্থটি ১৮৯৮ সনের‌ মে‌ মাসে প্রকাশিত হয়। 


7. পণ্ডিত জী শ্রীমদ্ভগবদগীতার‌ ভাষ্য‌ও প্রণয়ন করেছিলেন এবং ভাষ্য‌ অত্যন্ত লোকপ্রিয় ছিলো । রামলাল কাপুর ট্রাস্ট ১৯৭৭ সনে‌ এই ভাষ্য সম্পাদিত করে একটি সংস্করণ‌ প্রকাশিত করে ।


8. বেদারম্ভ ( প্রথম ভাগ )



9. নারদীয় শিক্ষা – শিক্ষা‌ শাস্ত্র‌ বিষয়ক এই দুর্লভ গ্রন্থ পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী দ্বারা সম্পাদিত‌রূপে‌ ১৯৬৩ বিক্রমাব্দে‌ প্রকাশিত হয় । 


10. শ্লোকবদ্ধ‌ বৈদিক নিঘণ্টু – অগ্নিচিত‌ শ্রী ভাস্কর রায় দীক্ষিত কৃত নিঘণ্টু সম্পাদিতরূপে প্রকাশিত হয় ১৮৯৮ সনে


11‌. আর্য‌ চর্পটপঞ্জরিকা – শঙ্করাচার্য‌ কৃত চর্পটপঞ্জরিকা‌ স্তোত্রের বৈদিক সিদ্ধান্তনুকূল পূর্বক হিন্দি‌ টীকাসহিত পণ্ডিত জী‌ ১৮৯৬ সনে‌ সরস্বতী‌ যন্ত্রালয় ইটাবা‌ থেকে প্রকাশিত করেন ।


12. ভর্তৃহরিকৃত নীতি শতকের‌ ভাষানুবাদ 

 

              খণ্ডন‌-মণ্ডন সাহিত্য 


1‌. ঋগ্বেদাদিভাষ্য‌ভূমিকেন্দুপরাগ‌ ( দ্বিতীয়োংশঃ) — বেরলীর‌ ব্রহ্মকুশল‌ উদাসীন‌ মহর্ষি‌ দয়ানন্দ কৃত ঋগ্বেদাদিভাষ্য ভূমিকা গ্রন্থের‌ উপর ভ্রান্তিপূর্ণ মিথ্যা আরোপ‌ করে " ঋগ্বেদাদিভাষ্যভূমিকা‌কেন্দু " নামক একটি গ্রন্থ কয়েকটি খণ্ডে লিখেন । এ গ্রন্থের‌ বড় একটি অংশ অত্যন্ত বিস্তৃতভাবে খণ্ডন করেন পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী । উক্ত গ্রন্থ সরস্বতী যন্ত্রালয়, ইটাবা হতে‌ ১৮৯৩ সনে‌ প্রকাশিত হয় ।


2.‌ ভাস্করপ্রকাশ – কুখ্যাত পৌরাণিক পণ্ডিত জ্বালাপ্রসাদ‌ মিশ্র‌ সত্যার্থপ্রকাশের‌ উপর মিথ্যাচার করে‌ " দয়ানন্দতিমির‌ভাস্কর‌ " নামে একটি গ্রন্থ লিখেন । গ্রন্থটি মুম্বাইয়ের প্রসিদ্ধ‌ প্রকাশক ক্ষেমরাজ শ্রীকৃষ্ণ দাস‌ কর্তৃক ১৯৫১ বিক্রমাব্দে‌ প্রকাশিত হয় । 

পণ্ডিত তুলসীরাম জী‌ উক্ত গ্রন্থ‌ সপ্রমাণ খণ্ডন করে‌ " ভাস্করপ্রকাশ‌ " প্রণয়ন করেন । এই গ্রন্থের প্রথম ভাগ সত্যার্থ প্রকাশের প্রথম তিন‌ সমুল্লাস মণ্ডনরূপে‌ স্বামী ব্রহ্মানন্দ দ্বারা সম্পাদিত‌ " ভারতোদ্ধারক‌ " মাসিক পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে । কালান্তরে‌ ১৮৯৭ সনে‌ উক্ত গ্রন্থ‌ প্রথমবার সম্পূর্ণ পুস্তকাকারে‌ প্রকাশিত হয় । দ্বিতীয় সংস্করণ ১৯০৪ সনে‌, তৃতীয় সংস্করণ ১৯১৩ সনে প্রকাশিত হয় ।


3. দিবাকর প্রকাশ – পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী কৃত ভাস্কর প্রকাশ গ্রন্থের‌ উপর পুনঃ মিথ্যাচার‌ করে‌ জ্বালাপ্রসাদ মিশ্রের‌ অনুজ পণ্ডিত বলদেবপ্রসাদ মিশ্র‌ " ধর্মদিবাকর‌ " গ্রন্থ রচনা করে ।  

১৮৯৮ সনে‌ এই গ্রন্থ প্রবলভাবে খণ্ডন করে‌ পণ্ডিত তুলসীরাম জী " দিবাকর‌ প্রকাশ " গ্রন্থ প্রণয়ন করে চূর্ণ-বিচূর্ণ করে দেন ।


4.‌ রামচন্দ্র‌ বেদান্তী কে‌ প্রশ্নোং‌ কা উত্তর‌ । প্রণয়ন‌ করেন ১৮৯৭ সনে


5. অজ্ঞান নিবারণ – পাদ্রী খড়গসিংহ‌ লিখিত‌ আর্য‌তত্ত্বপ্রকাশ কা খণ্ডন‌ । ১৮৯৭ সনে প্রণয়ন করেন ।


6. পিণ্ড-পিতৃযজ্ঞ – এই পুস্তকে যজুর্বেদ, শতপথব্রাহ্মণ তথা কাত্যায়ন শ্রৌতসূত্র এবং তৎ সম্বন্ধী মীমাংসা দর্শনের অধিকরণ বিবেচন করে পিণ্ড-পিতৃযজ্ঞের ব্যাখ্যা করেছেন এবং এই যজ্ঞ মৃতক শ্রাদ্ধ থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, তা সিদ্ধ করা হয়েছে ।


7. ১৯৫৭ বিক্রমাব্দে‌ মূর্তিপূজা প্রকাশ গ্রন্থ প্রণয়ন করেন ।


8. ভীম‌ প্রশ্নোত্তরী‌ ( পণ্ডিত ভীমসেন‌ শর্মা‌ ইটাবা‌ কৃত আক্ষেপের‌ উত্তর‌ ) 


9. শাস্ত্রার্থ‌ হায়দ্রাবাদ 


10. সন্ধ্যোপাসনা ( ১৮৯৮ সন‌ )


11. সংস্কৃত ভাষা‌ ( ৪টি খণ্ড )


12. পণ্ডিত তুলসীরাম স্বামী‌ জীর‌ মহত্ত্বপূর্ণ চার ব্যাখ্যান‌ – বৈদিক দেবপূজা‌, ঈশ্বর‌ ঔর‌ উসকী প্রাপ্তি‌, মুক্তি‌ ঔর‌ পুনর্জন্ম‌, নমস্তে । 


13. রামলীলা



Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.